কাতারের শুরু হয়েছে ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপ ফুটবল খেলায় অংশ নিচ্ছে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব খেলোয়াড়েরা। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ভিন্ন ধরনের একটি কাণ্ড ঘটালেন, যা অন্যান্য দলগুলো থেকে ভিন্নভাবে দেখা গেল, তবে ঠিক কী কারণে দলটির খেলোয়াড়েরা এমন করলো সে বিষয়টি নিয়ে এখনও স্পষ্ট নয়।
গত সোমবার কাতারের আল রাইয়ান স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ইরান। এই ম্যাচে ইংলিশরা ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে।
কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগেই মাঠের বাইরে বড় বিতর্কের সৃষ্টি করে এশিয়ার প্রতিনিধি ইরান। আন্তর্জাতিক ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রীতি অনুসরণ করেনি ইরান। পুরো দল মুখ বন্ধ করে মাঠে দাঁড়িয়ে ছিল।
জাতীয় সঙ্গীতে যোগ দেয়নি ইরান ফুটবল দল। দেশে সরকারবিরোধী আন্দো’লনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তারা এ কাজ করেছে।
এর আগে, ইরানের অধিনায়ক আলীরেজা জাহানবখশ বলেছিলেন যে ইরানি দলের সমস্ত খেলোয়াড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
খলিফা স্টেডিয়ামে প্রি-ম্যাচ জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানে প্রথমে ইংল্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর ইরানি টাইম দলের ১১ ফুটবলারকে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যদিও স্টেডিয়ামে বাজছিল ইরানের জাতীয় সঙ্গীত।
ইরানে গত দুই মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষো”ভ চলছে। মাথায় সঠিক হিজাব না পড়ায় মাসা আমিনী নামে ২২ বছর বয়সী এক নারীকে পি”টিয়ে আহ”ত করে পুলিশ। তার প্রয়ানেরর পর ইরানে সামাজিক প্রতিবাদ শুরু হয়। সেই প্রতিবাদ পরে সহিং”/সতায় রূপ নেয়। ইরান জুড়ে পুলিশের গু”/লিতে প্রয়াতের সংখ্যাও অনেক বেশি।
ইরানের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে সেখানে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোর পাচ্ছে। এদিকে ইরানে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে ইরান সরকার তার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে।