ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন দীর্ঘদিন আর অন্যদিকে ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দীর্ঘদিন ধরে দলটিতে বেশ কৌশলীভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দু’জন নেতা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকেন। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের এই দুইজন হেভিওয়েট নেতার মত, পথ, দর্শন, কথাবার্তা, রাজনীতির পার্থক্য সব সময় সাধারন মানুষের নিকট দৃশ্যমান। একে অন্যকে উদ্দেশ্য করে এই দুই নেতা কথা বলে থাকে। তারা দুজন একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন – এমন ঘটনা খুবই বিরল। এত পার্থক্যের পরও এই দুজনের মধ্যে একটা জিনিসে মিল আছে।
আর তা হলো—ওবায়দুল কাদের ও মির্জা ফখরুল ফুটবলে একই দলকে সমর্থন করেন। তারা দুজনই ব্রাজিলের ভক্ত।
জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগে দেশের রাজনীতিতে জমে উঠেছে বাকযু’দ্ধ। খেলার মাঠের উত্তাপ এখন নেতাদের মুখে। ‘খেলা হবে’ স্লোগান এখন প্রায়ই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের মুখে শোনা যায়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রায়ই বক্তৃতায় ‘খেলা হবে’ শব্দটি ব্যবহার করেন। গতকাল সিলেটের জনসভায় বিএনপি মহাসচিব তার বক্তব্যে ‘সরকার সেই খেলা শুরু করেছে’ বলেও উল্লেখ করেন।
খেলা নিয়ে দুই নেতার আ”ক্রমণ-পাল্টা জবাবের মধ্যে ফুটবল ভক্তদের জন্য স্বস্তির খবর হলো, ফুটবল খেলা নিয়ে তারা একমত। দুজনেই ব্রাজিলের খেলার ভক্ত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেকে ‘ব্রাজিল সমর্থক’ হিসেবে উপস্থাপন করে গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি এবং তার দুই মেয়েও নীল-হলুদ শিবিরের সমর্থক।
আমার প্রিয় খেলা ফুটবল এবং ক্রিকেট। ফুটবলে আমি সব সময়ই ব্রাজিলের ভক্ত। আমার দুই মেয়েই ব্রাজিলকে সমর্থন করে। আপনি দেখবেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ফুটবলের সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন। তারা চোখের পলকে খেলার গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।”
ব্রাজিলের পাশাপাশি লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ আর্জেন্টিনাকে আবারও সমর্থন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থক। তবে আমি ফ্রান্সের খেলাও পছন্দ করি। সেক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল মুখোমুখি হলে বিপাকে পড়বেন ওবায়দুল কাদের। কাকে সমর্থন করবেন তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয় তাকে।
এই দুইজন নেতা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিপরীত দলে অবস্থান করে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখে চলেছেন। ওবায়দুল কাদের এবং ফখরুল ইসলাম দুজনেই এখন বয়সের ভারে পড়েছেন যার কারণে তাদের রাজনৈতিক জীবন আগামিতে সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কাদের কয়েক বছর আগে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার কারনে তাকে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।