Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / opinion / আমি সেই পত্রিকার সম্পাদক এবং বিএনপির রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে মামলা করব:শাখাওয়াত

আমি সেই পত্রিকার সম্পাদক এবং বিএনপির রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে মামলা করব:শাখাওয়াত

সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নাম আন্তর্জাতিক মহলে উঠেছিল বেশ সমালোচনা। আর এই সমালোচনার বিষয়টি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে একটি মেইল পাঠানোকে ঘিরে। বাংলা ইনসাইডার নামের একটি সংবাদ মাধ্যমের ইউটুবে চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হয় একটি ভিডিও।ভিডিওটির টাইটেল এ ছিল,”আওয়ামীলীগ নেতার কর্মকান্ডে বিব্রত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিওটি। তবে এ বিষয়টি কোনো ভাবেই সত্য নয় বলে জানিয়েছন শাখাওয়াত হোসেন। এ নিয়ে তিনি সম্প্রতি দিয়েছেন একটি স্ট্যাটাস। পাঠকদের উদ্দেশে তার সেই স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো হুবহু:-

সেলিম মামলা না করলেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজের জন্য আমার উপজেলা এবং দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সেই পত্রিকার সম্পাদক এবং এম পি রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে দেশ এবং দলের স্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে চাই-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বিব্রত দলের শীর্ষ নেতারা প্রায় ৪লক্ষ ভিউয়ার হয়েছে হাজার হাজার শেয়ার লাইক নেতিবাচক কমেন্ট বিপাকে সেলিম, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে চান না-কি বুঝলেন?

বাংলাদেশের আলোচিত সেই সিদ্দিক চোরের কথা স্মরন করিয়ে দিলেন এই বিতর্কিত ও দলের হাইব্রিড নেতা, মার্কিন দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা: সেলিম মাহমুদ, এর আগে দলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কে বাদ দিয়ে লক্ষীপুরে পাপুল কে এম পি বানাতে এখতিয়ার বিহীন জেলাকে সুপারিশ করে একিই কান্ড ঘটান প্রমান সহ দেয়া হলো, এরা দল দেশের জন্য অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ বলে বহি:স্কার চান দেশের তৃণমূল আওয়ামী লীগ,অন্যথায় দল ও দেশকে চরম মূল্য দিতে হবে!

আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ বলেন, মার্কিন দূতাবাসে ইমেইল পাঠানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা তার ফেসবুক থেকে মূলত এ অপপ্রচার চালাচ্ছে।‌‌

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারাই সারাবছর দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে ইমেইল পাঠায়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সব আজগুবি খবর প্রচার করে তারা নিজেদের দৈন্যতাই প্রকাশ করে।

সেলিম মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের বরাত দিয়ে ওই মিথ্যা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ইমেইল পাঠিয়েছিলাম। আমার ইমেইলের কারণে নাকি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বিব্রত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যই মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, ইমেইল পাঠানোর বিষয়টি যে মিথ্যা এটি প্রমাণ করার জন্য আমি ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিকাল কাউন্সিলর স্কট ব্র্যান্ডন এর কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছিলাম যে, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আমি কিংবা আমার পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনো ইমেইল পাঠানো হয়েছিল কিনা। তিনি উত্তরে আমাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো ইমেইল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আসেনি। অর্থাৎ ইমেইল পাঠানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিব্রত হওয়ার ঘটনাটিও মিথ্যা ও কাল্পনিক।

সেলিম মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে আমি আমাদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, এ বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তিনি ইমেইলের কোনো কথা শুনেননি। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট দূতাবাস থেকে আমাকে জানিয়েছে যে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাহলে এই ধরনের সংবাদ প্রচারের উদ্দেশ্য কী সেটি বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এটি পরিস্কার, এই সংবাদ প্রচারের একটি অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এই রিপোর্টে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আপত্তিকর কথা বলা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‌‘আওয়ামী লীগের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দলের চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়ে গেছে। দলের নেতারা ফ্রিস্টাইলে কাজ করছেন, এমন অভিযোগ শোনা যেত। এই ঘটনাটি তার একটি প্রমাণ।’ এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সুশৃংখল রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের পক্ষে যেসব নেতা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবাই দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই দায়িত্ব পালন করছেন। দলের সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না।

ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না, লক্ষীপুরে পাপুল কে এম পি বানাতে এখতিয়ার বিহীন জেলাকে সুপারিশ করে একিই কান্ড ঘটান এই বিতর্কিত হাইব্রিড নেতা!

প্রসঙ্গত, এ দিকে আওয়ামীলীগ মেইল পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে একেবারেই বিব্রত হয়েছে।দল থেকে জানিয়েছে তারা কোনো ভাবেই এ ধরনের কাজ করেনি। আর ইটা মূলত দলকে বিব্রত করার জন্য বিরোধী দল বিএনপির একটি ষড়যন্ত্র মাত্র।

About Rasel Khalifa

Check Also

বাঁধন নৌকার লোক বলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হইতো: পিনাকি

ছাত্র আন্দোলনে তারকাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তিনি আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *