বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে অধিক জনপ্রিয় হলো জি বাংলা এবং স্টার জলসা। গত শুক্রবার থেকে জি বাংলার পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর এবার স্টার জলসা কোন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করা ছাড়াই বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর তালিকায় ফিরে এসেছে। গতকাল (শনিবার) অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর রাত থেকে দেশের কেবল টিভি এবং ডিটিএইচ -এ সম্প্রচার করা শুরু হয়েছে চ্যানেলটি। এই জি-বাংলা এবং স্টার জলসা চ্যানেল দুটির বেশিরভাগ সিরিয়াল বাংলাদেশি দর্শকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে।
কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (COAB) মতে, স্টার জলসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ‘ক্লিন ফিড’ পাওয়ার পর পরিবেশকরা পরীক্ষামূলকভাবে সম্প্রচার শুরু করেছে। সব অনুষ্ঠান আগের মতোই চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত হবে। তবে, বিজ্ঞাপন বিরতির সময় কোন বিজ্ঞাপন দেখানো হবে না।
এদিকে নতুন করে চালু হওয়া স্টার জলসার অনুষ্ঠানের মাঝের বিজ্ঞাপন বিরতিতে ‘সম্মানিত গ্রাহক, বিজ্ঞাপন বিধিনিষেধের জন্য বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। বিজ্ঞাপন বিরতি শেষে অতি শিগগিরই আমরা মূল অনুষ্ঠানে ফিরে আসছি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ’, এই বার্তাটি দেখা যাচ্ছে।
বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার করতে হলে ‘ক্লিন ফিড’ (মূল ভিডিও) পাঠাতে হবে। অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে, এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করার সুযোগ বাংলাদেশের আইনে নেই। সেই নিয়ম বাস্তবায়নে সরকার ক’ঠো/র অবস্থানে গেলে পরিবেশক ও ক্যাবল অপারেটররা গত ১ অক্টোবর জি বাংলা, স্টার জলসা ও স্টার স্পোর্টসহ প্রায় ৬০টি বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। অবশেষে বিজ্ঞাপন ছাড়াই বাংলাদেশে সম্প্রচারে ফিরেছে ভারতীয় চ্যানেল দুটি।
উল্লেখ্য, টেলিভিশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, ‘ক্লিন ফিড’ মানে হলো মেইন ভিডিও সিগনাল। এই ভিডিওতে পরে গ্রাফিক্স এবং টেক্সট যোগ করে দিয়ে সম্প্রচারের কাজ করা হয়। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ভিডিও গুলো সম্প্রচার করার মাঝে মাঝে প্রয়োজন অনুসারে ফিডে তাদের সুবিধা মোতাবেক বিজ্ঞাপনের ক্লিপ যোগ করে সম্প্রচার করে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ বিদেশী চ্যানেলগুলো অনেকটা সুযোগ নিয়ে কোন ধরনের অনুমতি ব্যাতিরেকে বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য সকল ধরনের প্রচারনা সম্প্রচার করছিল।