টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং সাংসদ নুসরাত জাহান সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বিষয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি তার সন্তানের মা হওয়ার লক্ষন প্রকাশের পর থেকেই তার বাবার পরিচয় নিয়ে অনেক বিভ্রা’ন্তির সৃষ্টি হয়। নুসরাত জাহানের সন্তানের পিতা কে- এই প্রশ্নের উত্তর প্রথম দিকে একদমই প্রকাশ্যে আনতে চাননি। তার ভক্তরা উত্তর খুজতে গিয়ে যশ দাশগুপ্তকে তার স্বামী হিসেবে চিহ্নিত করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বিষয়টি নিয়ে নেটিজনেরা বেশ আলোচনা চালিয়ে যান। এরপর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন এই অভিনেত্রী।
এবার নুসরাত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দেওয়ার পর ট্র’লের শি/’কা’র হয়েছেন। ট্র’ল হওয়া নুসরাতের জন্য নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। যদি নুসরাত দুটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু আপলোড করে, নেটিজেনরা তার বিষয়ে সমালোচনা করতে যেন মুখিয়ে থাকে।
এবারও ঠিক এমনই ঘটেছে। বিজয়া দশমীর দিন ইনস্টাগ্রামে ‘আসছে বছর আবার হবে’ লেখা ভিডিও আপলোড করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানা ব্যঙ্গ। তিনি যে ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা গেছে, পরনে লাল শাড়ি, মাথায় বেলি ফুলের মালা, গায়ে সোনালি অলংকার। মাথায় লাল টিপ, সিঁথিতে সিঁদুর। এই ভিডিও পোস্ট করে নুসরাত লিখেছেন, আসছে বছর আবার হবে!
এই ভিডিও দেখার পর হইচই পড়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট বক্সে নুসরাতকে কটাক্ষ করে নেটিজেনরা লিখতে শুরু করেন নানা কথা। কেউ কেউ লেখেন, আসছে বছর আবার বিয়ে হবে! কেউ আবার লিখেছেন, নুসরাত আবার সিঁদুর পরেছেন!
এর আগে পূজার সাজে ছবি পোস্ট করেও ট্র’লের শি’/কা’র হয়েছেন তিনি। তবে এসব নিয়ে এবারও মুখ খোলেননি নুসরাত জাহান। বরং নেটিজেনদের কটা’ক্ষকে এড়িয়ে চলতেই ভালবাসেন তিনি। ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, যশের জন্মদিনের কেকে নুসরাত স্পষ্টই লিখে দিয়েছিলেন হাজব্যান্ড ও সন্তানের বাবা যশ! তারপর থেকেই যেন নেটিজেনরা আরও বেশি করে শুরু করে দেন যশরত চর্চা। সম্পর্কে লি’প্ত হওয়ার পর যশ ও নুসরাতের এটাই প্রথম পূজা। সঙ্গে তো অবশ্যই রয়েছে ছোট্ট ঈশান। তারও এটা প্রথম পূজা। একেবারে যেন পারফেক্ট ফ্যামিলি। ষষ্ঠী থেকে নবমী প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন পোশাকে মণ্ডপে ঘুরে বেরিয়েছেন নুসরাত ও যশ। একসঙ্গে ঢাকও বাজিয়েছেন তারা।
নুসরাত জাহান সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় এলেও তার এ বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। এর আগে তিনি আলোচনায় এসেছিলেন কিন্তু সেই সময় তিনি জানিয়ে দেন আমি আমার জগতে অনেক সুখী। আমি কী করবো সেটা অন্য কেউ ঠিক করে দিবে সেটা হতে পারে না। আমাকে নিয়ে সমালোচনা করে সময় নষ্ট করার কী দরকার আছে, এমনটাই বলেছিলেন এই অভিনেত্রী-সাংসদ। তবে তার এই কথাকে অনেকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং বলেছেন, সমালোচকেরা সামলোচনা করেন কিন্তু সেই সমালোচেকেরাও তারা নিজেদের মতো করে অনেক কিছু করে থাকেন, যেটাতে অন্যের হস্তক্ষে’প কোনোভাবে মেনে নেন না।