সাম্প্রতিক সময়ে দেশে যখন বাল্য বিয়ের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে ঠিক সেই সময়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করার মাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন এক শিক্ষক। বাল্যবিয়ে প্রতিরো’ধকল্পে সচেতনতার বিষয়ে শিক্ষকেরা বেশ বড় ধরনের ভূমিকা রাখে সেটা করার বদলে ঐ শিক্ষক তার ছাত্রীকে বিয়ে করার মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। ওই শিক্ষক বিয়ের পর ঐ ছাত্রী হলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক খায়রুল ইসলাম মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসায় কর্মরত। শিক্ষকের বাল্যবিয়েতে জ’ড়ানোর ঘটনার সমালোচনা করছেন এলাকার সচেতন লোকজন।
অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই তাকে বিয়ে করেছি। ওই ছাত্রী দশম শ্রেণিতে পড়লেও বয়স ১৯ বছর।’ মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার ফজলুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ঐ শিক্ষক ঐ ছাত্রীর বয়সের বিষয়ে যে দাবি করছেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে তিনি ঐ ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন কিনা সেটা জানেন না বলেও জানান। তবে আইনগতভাবে সব কিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে তাকে নিয়ে সংসার করতে পারে। তবে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি তার ছাত্রীকে বিয়ে করে।