বাংলাদেশের বহুল আলোচিত-সমালোচিত অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। তাদের বিরুদ্ধে বিশাল অর্থের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবং বিভিন্ন অভিযযোগের ভিত্তিতে বর্তমান সময়ে কারাগারে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি মোহাম্মদ রাসেল। তবে এবার আইনজীবির মাধ্যমে গ্রাহকদের উদ্দেশ্য কারাগার থেকে এক বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কারাগার থেকে আইনজীবির মাধ্যমে গ্রাহকদের উদ্দেশ্য বার্তা দিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল। সময় ও সুযোগ পেলে চার মাসের মধ্যেই সব জটিলতা গুছিয়ে তোলা সম্ভব বলে দাবি করেছে তিনি। রাসেল বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। এ সুযোগ পেলে সবার সব ধরনের অর্ডার ডেলিভারি দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাম, আছি এবং থাকব।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই অবগত। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে দেশের অনলাইন কেনাকাটাকে সবার হাতের মুঠোয় নিয়ে যেতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি। এ কাজকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।’ গতকাল ৫টা ৪৩ মিনিটে ভেরিফায়েড ফেসবুক ঠিকানা (ইভ্যালি ডটকম বিডি) থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে ইভ্যালি এ কথা বলেছে। আইনজীবীর মাধ্যমে ইভ্যালির এমডির কাছ থেকে বক্তব্য পাওয়া গেছে বলে ফেসবুক পোস্টে বলা হয়।
ইভ্যালির কর্মচারীরা বর্তমান পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা হিসেবে শঙ্কার মধ্যে দিন পার করছেন বলে ইভ্যালির পক্ষ থেকে বলা হয়। উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের সম্মানিত সিইও এবং চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় আমাদের ব্যাংকিংও সাময়িকভাবে বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভারসহ অফিসের খরচ চালানো এবং আমাদের কর্মচারীদের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়গুলোয় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গতকাল ইভ্যালির সার্ভার বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল বিকাল ৫টার দিকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইভ্যালির সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, দ্রুত সার্ভার চালু করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইভ্যালি বলেছে, গ্রাহক ও সেলারদের স্বার্থ সুরক্ষায় ইভ্যালি সর্বোচ্চ সচেষ্ট। দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হতে গ্রাহকদের সব সময় পাশে পেয়েছে ইভ্যালি। এ ভালোবাসায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ। সামনের দিনগুলোতেও এভাবে আপনাদের পাশে চাই। আপনাদের ভালোবাসার শক্তি আমাদের অদম্য পথচলার প্রেরণা। ইভ্যালির পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’
সম্প্রতি দেশের অধিকাংশ অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নানা কৌশলে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমানের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তবে দেশের সকল ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এবং তাদের কার্য পরিচালনার জন্য বেশ কিছু নীতিমালাও প্রনয়ন করেছেন।