হেফাজতের মতো বিএনপিকে দমন করা হবে, প্ল্যান নিয়েছি ডিসেম্বর থেকে শুরু করব : প্রধানমন্ত্রী

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বিএনপি। সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এছাড়াও মিছিল, মিটিং নিয়েও নানা অভিযোগ তুলছেন বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

আর এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি নির্বিঘ্নে মিছিল-মিটিং করতে পারছে।

তিনি বলেন, বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিতে আওয়ামী লীগ বাধা দেবে না। তবে আন্দোলনের নামে হেফাজত ইসলামের মতো সহিংসতা কিংবা হেফাজত ইসলামের মতো তাণ্ডব করলে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতকে যেভাব দমন করা হয়েছে, বিএনপিকেও সেভাবে দমন করা হবে।

শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে এমন বার্তা দেন শেখ হাসিনা। তার বরাত দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আজ নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ, মিছিল সবকিছু করতে পারছে। তবে যারা অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত তারা অভিযুক্ত। যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ ;হ;;;ত্যা” করেছে। রেল, বাস, গাড়ি, সিএনজি, লঞ্চে আগুন দেওয়া হচ্ছে। কোনো জায়গা বাদ যায়নি। যারা এই ঘটনায় জড়িত, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত। আমি জানি তাদের অনেকেই লুকিয়ে ছিল। এখন বিএনপি মাঠে নেমেছে, তারা মাঠে নামবে। কিন্তু এই সমস্ত আসামিদের ধরতে হবে এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।’

উপস্থিত নেতারা বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনে পাস করবেন এমন ধারণা নিয়ে বসে থাকা যাবে না। এবারের নির্বাচনে সবাইকে নিজ যোগ্যতায় জয়ী করতে হবে। দলীয় সভানেত্রী বলেন, এলাকায় দলীয় এমপিদের অবস্থা জানার জন্য জরিপ চলছে, যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী এমপিরা নির্বাচন কী তা বোঝেন না, তাদের বুঝতে হবে।

আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র দল যারা সংবিধান মেনে চলে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতোমধ্যে অনেক জেলা গঠন করা হয়েছে। কিছু জেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটিও দিয়েছে। যেসব জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে সেখানে জনসভা করব। এছাড়া নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও বৈঠক করব। সেটাও আমি প্ল্যান নিয়েছি। নভেম্বরের মাঝামাঝি বা ডিসেম্বর থেকে তা শুরু করব।’

সমাবেশের নামে বিএনপি যেন কোনো ধরণের অনৈতিক কর্মকাণ্ড না করতে পারে, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। কেননা তারা যে কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তা আসলেই মেনে নেয়া যায় না। এরপরও প্রধানমন্ত্রী তাদের ছাড় দিয়ে যাচ্ছেন।