বেশ ধুমধাম করেই শুরু হয়েছিল বিয়ের সকল আয়োজন। একে-একে চলে এসেছেন আত্বীয়স্বজনরাও। আর তাই নিজেকে প্রস্তুত করতে পার্লারের শরনাপন্ন হন কনে ফারজানা আক্তার কলি। এরপর সেখান থেক বধূসেজে সিএনজির অটোরিকশা যোগে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওণা দেন কনে ফারজানা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত বাড়ি ফেরা হলো না তার, যেতে হলো হাসপাতালে।
জানা গেছে, বাড়ি ফেরার পথেই সিএনজি-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। এছাড়া এ ঘটনায় নারীসহ বিয়ে বাড়ির ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফেনীর শহরতলীর মঠবাড়ীয়া রাস্তার মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের পূর্ব ডেকরা গ্রামের ফারজানা আক্তার কলির সঙ্গে একই উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের বিজয়করা গ্রামের মোহাম্মদ শাকিলের সঙ্গে বিয়ের ধার্য তারিখ ছিলো। এদিন কনে ফারজানা আক্তার কলি শহরের একটি পার্লার থেকে বধূসেজে সিএনজির অটোরিকশা যোগে তার বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় বিপরীত দিক হতে আসা দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে কনের বড় বোন জামাই জামাল হোসেন (৩৮) ও ভাতিজি হাছনা আক্তার পলি মারা যান। এসময় আহত হয় কনেসহ আরও ৩ যাত্রী। পরে স্থানীয়রা আহত কনে ফারজানা আক্তার কলিসহ (১৮) ৩ জনকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে ফারজানা কলির অবস্থা আশংকাজনক দেখে সেখানকার চিকিৎসক তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে কনের পরিবারে। অবিরাম কেঁদেই চলেছেন সবাই।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মাইক্রোবাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এবং দুর্ঘটনায় দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।