আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের একটি অন্যতম রাজনৈতিক দল ইসলামী ঐক্যজোট তাদের দলকে সাজাতে এবং সুসংগঠিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগামী নির্বাচনে কোন জোটের সাথে অংশ নেবে না। এই নির্বাচনে৩০০ আসনে লড়বে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা। নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে সবগুলো আসনেই দলটির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের চিন্তাধারা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে দলটি এ কথা বলেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট বর্তমানে কোনো জোটের সঙ্গে যুক্ত নয় এবং আমাদের কোনো জোটে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে এই আশায় আমরা ৩০০ আসনে একক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের পথ স্বাধীনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ফলে ইসলামী ঐক্যজোট বর্তমানে কোনো জোটের অন্তর্ভুক্ত নয়। অতীতেও ইসলামী ঐক্যজোটের বিজয়ী নেতারা সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট ইসলামী সংস্কৃতি, নৈতিক শিক্ষা ও রাজনৈতিক চর্চার একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম। একই সাথে, দেশের নেতৃস্থানীয় উলামায়ে কেরাম সমর্থিত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, ন্যায়ের পথে পরিচালিত এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। ১৯৯০ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, ইসলামী ঐক্যজোট ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং জনগণের অটুট ভালোবাসা পেয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনে অন্তত ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে সমস্যা না হলে ইসলামী ঐক্যজোটে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দেশের জনগণের একটি অংশ ইভিএমে ভোট দিতে অভ্যস্ত না হওয়ায় তাদের মধ্যে একটা শ”ঙ্কা কাজ করছে। আমরা বলতে চাই বাংলাদেশ এখন তথ্য প্রযুক্তি ও শিক্ষায় অনেক এগিয়েছে। তাই জীবনযাত্রার মান ও শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইভিএমে ভোট দেওয়া যেতে পারে। তবে ইভিএম নিয়ে জনগণের ভয় দূর করতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আলতাফ হোসেন, মাওলানা মুফতি জিয়াউল হক, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসংগত, আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের শেষদিকে অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে অর্থাৎ জানুয়ারির যে কোনো এক সময়। এদিকে নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রায় চূড়ান্ত করেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ১৫০ আসলে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশের সকল আসনেই ইভিএম মেশিন এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের জন্য মতামত দেয়।