এটাতো ছাত্রলীগই করতে পারে, আমিতো ভেবেছিলাম কি জানি হয়ে যাবে আজ বাংলাদেশে : শামীম ওসমান

গত বেশ কয়েক বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ফলে হতাশাগ্রস্থ রীতিমতো বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। এছাড়াও এ দলটি বড় কোনো সমাবেশের ডাক দিলেও দেখে মিলছে তেমন নেতাকর্মীদের উপস্থিতি।

আর এদিকে এবার বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ রাজধানীর পরিবর্তে নারায়ণগঞ্জে করার জন্য দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান এমপি।

তিনি বলেন, ঢাকায় সমাবেশ না করে একই সময়ে নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করুক। দেখুন কোনটিতে বেশি লোক আছে। আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ তো অনেক পরে, আগে ছাত্রলীগের সমান লোক দেখান। গুটিকয়েক লোক দিয়ে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে শ্রমিক লীগের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।

এদিকে বক্তৃতার আগে মুঠোফোনে চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশের ভিডিও দেখান শামীম ওসমান। এবং একজন স্থানীয় মিডিয়া ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন সেখানে কতজন লোক ছিল।

তিনি বলেন, সাংবাদিক বলেন ৫ থেকে ৭ হাজার আর আমি বলি ১০ হাজার। চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩টি জেলা থেকে ১০০০ করে লোক আসলেও ১৩ হাজার। এই ৫ হাজার ১০ হাজার লোকের মিছিল করে বলে মহাসমাবেশ। এটা আমাদের ছাত্রলীগই করতে পারে। আমাদের একজন শ্রমিক লীগ নেতাই পনের হাজার মানুষের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে পারে। এটা হল বড় হাঁকডাক। আমিতো ভেবেছিলাম কি জানি হয়ে যাবে আজ বাংলাদেশে। আজ চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। এত হাঁকডাক বিভাগীয় মহাসমাবেশ। চট্টগ্রাম অনেক বড় বিভাগ। এই হল তাদের অবস্থা। যারা বলেন জনগণকে নিয়ে সরকার পরিবর্তন করবেন তারা আজ বুঝবেন সাধারণ মানুষ আপনাদের পাশে নেই।

শামীম ওসমান আরো বলেন, বাংলাদেশে তারা হায়েনার রূপ নিয়েছে। লাঠি দিয়ে সব ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে যা রাজনীতির ভাষা হতে পারে না। ব্রিটেনের মতো দেশে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। আমরা এখনও সেখানে ভালো আছি। দেশকে বাঁচাতে কাজ করছেন জাতির জনকের কন্যা। বললেন- বিদ্যুৎ অপচয় করবেন না। শেখ হাসিনার উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেছেন। আইএমএফসহ সবাই বলছে, চীন ও ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।

গত কয়েক বছর আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশ ও দেশের মানুষের যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তা অস্বীকার করার সাধ্য নেই কারোরই। আর এই উন্নয়নের ধারা যেন আগামীতেও অব্যহত থাকে, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সকলেই।