Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে, কঠিন শাস্তির দাবি পরিবারের

এবার ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে, কঠিন শাস্তির দাবি পরিবারের

সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ছে শিক্ষকরা। এমন কর্মকান্ডে নিয়ে সমাজে শিক্ষকদের নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারনে অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তানদের পাঠাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক সমাজ নিয়ে।কুষ্টিয়া জেলায়
এবার এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) শ্লীলতাহানির অভিযোগে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের নাম মোঃ আব্দুল হালিম। তিনি উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নি/শ্চিত করেন । তিনি জানান, ২০ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। আবদুল হালিমকে ওইদিন থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত সোমবার (১০ অক্টোবর) স্থগিতাদেশ পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, গত ৬ অক্টোবর ওই শিক্ষক জামিন পেয়েছেন। তবে যতদিন মামলা চলবে ততদিন তাকে বরখাস্ত থাকবে। বরখাস্তের সময় তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হবেন।

পুলিশ ও বাদী সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক টিসি দেওয়ার হু/মকি দিয়ে শিশুটিকে একাধিকবার যৌ/ন হয়রানি করেন। অবশেষে ২৩ আগস্ট দুপুরে তিনি ছাত্রীকে স্কুলের স্টোররুমে নিয়ে ছাত্রীটির স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। সেদিন বাড়িতে এসে মেয়েটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে কাঁদতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি বিষয়টি পরিবারকে জানান। পরে মেয়েটির মা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নি/র্যাতন দমন আইনে ২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।

এ ব্যাপারে বাদী ও ছাত্রীর মা বলেন, লম্পট শিক্ষক আমার মেয়ের সাথে একাধিকবার অনৈতিক কাজ করেছে। থানায় মামলা করেছি। এমন প্রধান শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি আর ভয়ে স্কুলে যায় না।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসানুজ্জামান জানান, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ২৯শে আগস্ট থেকে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেননি। ওই ছাত্রীও আসে না। প্রধান শিক্ষক দোষী হলে তার শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে তার স্ত্রী ও উত্তর মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিলকিস খাতুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনিও ফোন ধরেননি।

কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিটন দাস জানান, ওই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জবানবন্দির সত্যতা পাওয়া গেছে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ছাত্রীর সাথে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে ঘটনার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে প্রাথমিক ভাবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

About Babu

Check Also

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমাচ্ছে: রিজভী

দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *