বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে র্যাব। দেশের জঙ্গি দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য রয়েছে র্যাবের। তবে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেকে সদস্য অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে কিন্তু তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান জানিয়েছে সে বিষয়ে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। র্যাবের দায়িত্বের পালনের বিষয়ে কথা বলতে যে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমাদের দেশের মানুষ, সবার কাছে এক, র্যাবকে অনেক পছন্দ করে। তাদের বিশ্বাস র্যাব মানুষকে নিরাপত্তা দেয়। তারা বিশ্বাস করে র্যাব দুর্নীতিবাজ নয়। তারা বি/শ্বাস করে র্যাবের কাছে গেলে তারা বি/চার পাবে।
গত ২ শে অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি সাক্ষাৎকারে, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলাকে এ কথা বলেছেন এ. কে. আব্দুল মোমেন। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, র্যাব অপরাধ করলে তার বিচার হবে। আমরা স্বচ্ছতা চাই, জবাবদিহি চাই। এখানে কোনো ব্য/ত্যয় নেই।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের অনেক লোককে চাকরিচ্যুত বা পদচ্যুত করা হয়েছে। এমনকি কয়েকজনকে ফাঁ/সির আদেশ দেওয়া হয়েছিল, কারণ তারা অত্যন্ত বড় অপরাধ করেছিল। জবাবদিহির একটা নিয়ম আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কে আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। আর সম্পর্কটা একদিনের নয়, আজ ৫০ বছরের সম্পর্ক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। একক দেশ হিসাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। অনেক দিক দিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাহলে আমাদের সম্পর্ককে একটা দুর্ঘটনা দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না। আর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একই মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল যখন গণতন্ত্র ধুলিসাৎ হয়ে যাচ্ছিল। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে – আমরা লড়াই করেছি। ৩০ লাখ মানুষ প্রা/ণ দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আবাসস্থল। বাংলাদেশ মানবাধিকারের আশ্রয়স্থল। বাংলাদেশ ন্যায়ের দেশ। আর আমেরিকাও এই মূল্যবোধ ও মানবাধিকার, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই আমাদের একটা আধ্যাত্মিক সম্পর্ক আছে।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার প্রশ্ন বাংলাদেশ সব সময় কঠোর এবং এ বিষয়ে কখনো ছাড় দেওয়া হয় না বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হলে তাকে বিচারের মুখোমুখী হতে হয়।