Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে সতীত্ব কেড়ে নেয় আলম, এরপর পিল খাওয়ায়: ভুক্তভুগীর মা

আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে সতীত্ব কেড়ে নেয় আলম, এরপর পিল খাওয়ায়: ভুক্তভুগীর মা

দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত-সহ নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মো. নুর আলম প্রকাশ নাম এক যুবক। তবে তার এ প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় সম্প্রতি ভুক্তভুগিকে উঠেয়ে নিয়ে জোরপূর্বক তার সঙ্গে খারাপ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের একটি গ্রামে।

এ ঘটনায় নুর আলমের শাস্তির দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ভুক্তভোগীর মা। এ সময় তিনি নূরে আলমের সর্বোচ্চ শাস্তি ও তার মেয়ের নিরাপত্তার দাবি জানান।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় নির্যাতিতার মা বলেন, আমার স্বামী বিদেশে থাকে। একমাত্র মেয়ে কলেজে পড়ে। নূর আলম আমার মেয়েকে কলেজ থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপরে সে তার সতীত্ব কেড়ে নেয় এবং ভিডিও রেকর্ড করে। এরপর তাকে পিল খাওয়ানো হয় বলেও জানান তিনি।

মেয়েটি ‘আ”ত্ম’হ”’ত্যা””র’ ‘চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে বেশ কয়েকবার ”আ”ত্ম”হ”’ত্যা”’র চেষ্টা করেছে। সামজিকভাবে আমরা হেয় হচ্ছি। আজ চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো বিচার পাইনি। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আমার ছোট ভাই ও মাকে অপহরণ করবে বলে আমাকে ভয় দেখায়। জোর করে কাগজে সাক্ষর নেয়। আমার সবকিছু কেড়ে নেয়া হয়, এরপর আমাকে পিল খাওয়ায়। কিন্তু রিপোর্টে এসব আসেনি। আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

এদিকে এ ঘটনার আলোকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আইন কাউকেই আলাদা করে দেখে না, আইনের কক্ষে সকলেই সমান। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ইতিমধ্যেই ভুক্তোভুগী ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন। অভিযুক্ত ওই যুবককে খুব শীঘ্রই আটক করার আশ্বাস দিয়েসেন তিনি।

About Rasel Khalifa

Check Also

থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে উল্টো কট ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *