ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পদ পাওয়া একটি স্বপ্নও অনেকের। আর সেই সুবাদে এবার যে ঘটনাটি ঘটলো তা রীতিমতো অবাক করার মতই। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সদস্য পদ পাওয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছেন মুহিবুর রহমান মুহিব। এ ঘটনায় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
মুহিব সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটিতে তিনি সভাপতির পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য চার পদ অনুমোদন দেন।
একই সাথে কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। কেন্দ্রীয় সদস্য করা হয় জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান, বিপ্লব কান্তি দাস, মুহিবুর রহমান মুহিব, কনক পাল অরূপ, হোসাইন মোহাম্মদ সাগর ও সঞ্জয় পাশী জয়কে।
এই কমিটি ঘোষণার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদ প্রত্যাখান করে স্ট্যাটাস দেন মুহিবুর রহমান মুহিব। স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য করায় আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি আমি এই বিশাল পদের যোগ্য নই। তাই আমি স্বেচ্ছায় এই পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।’
তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পদ পাওয়ার পরও তা ছেড়ে দেয়ার অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সে ব্যাপারে কোনো কিছুই জানা যায়নি। তবে মুহিবের এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো অবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে এ নিয়ে নানা কৌতুহল দেখা দিয়েছে অনেকের মাঝে।