Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / মসজিদে মন্দিরে ইভিএমের প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত ইসি সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির খোন্দকারের 

মসজিদে মন্দিরে ইভিএমের প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত ইসি সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির খোন্দকারের 

ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।  অনেকেরই ইভিএম নিয়ে নানা ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে সেগুলো দূর করার জন্যই এ সিদ্ধান্ত।  প্রায় দেড়শটি আসনে  ইভিএম দ্বারা ভোটের কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  ইসি।  ইভিএমের প্রচারণা সম্পর্কে সাম্প্রতিক সংবাদমাধ্যমে ইসি সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির খোন্দকার জানায়,রেডিও, টেলিভিশন ছাড়াও মসজিদ-মন্দিরেও প্রচারণা চালানো হবে।

গত সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অষ্টম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইভিএমের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল রাকিবকে টিভিসি (টেলিভিশন কমার্শিয়াল) করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করবে যাতে জনগণ ইভিএম এবং কীভাবে ভোট দিতে হয় সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পায় এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে কমিশনকে কর্মপরিকল্পনা দেখাবে। তারপর আমরা প্রচার করব।

ইসি সচিব বলেন, অনেক কিছুই হবে। টিভি ছাড়াও সংবাদপত্র, মসজিদ ও মন্দিরে আমাদের প্রচারণা হবে। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচারণা চালাবো। এটি একটি সমন্বিত প্রোগ্রাম। এখন কথা হলো, আমি যে দায়িত্ব দিয়েছি তা হলো আমাদের টিভি, বিভিন্ন চ্যানেল, বিটিভি, ফে/সবুক সব জায়গায় প্রচার করা।

তিনি বলেন, ইভিএমে কোন বাটন চাপতে হবে, অনেকের ধারণা আমি কলা মার্কায় ভোট দিতে চাই, বাটন চাপলে ভোট আম মার্কায় যেতে পারে। এই ধরনের ধারণা মানুষের মধ্যে বা কারও মধ্যে থাকতে পারে। এই ধারণাগুলি কাটা (মুছে ফেলার) জন্য, যত সন্দেহ আছে, প্রশ্নাবলী আকারে একটি TVC-এর মতো করে তৈরি করুন, আমরা তা প্রচার করব। ইভিএমের প্রজেক্ট ম্যানেজারকে কাজ দিয়েছিলাম। তিনি তা প্রস্তুত করে কমিশনকে দেখাবেন। কমিশন এতে সন্তুষ্ট হলে আমরা তা প্রকাশ করব।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এজন্য সংগঠনটি নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। ভোটারদের সন্দেহ দূর করতে এবং ইভিএম ভোটিং পদ্ধতির ধারণাকে স্পষ্ট করার জন্য একটি প্রচারণাও চালানো হবে, যা কমিশন আগে কখনও বড় আকারে করেনি।

ইভিএমে ভোট গ্রহণ নিয়ে  অনেকেই বিরোধিতা করছে। তাদের দাবি ইভিএমে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে খুব সহজেই ভোট কারচুপি করা যায়। যার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার চায় দেশের প্রায় দেড়শটি আসনে ইভিএমে গ্রহণ করতে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দাবি করছে ভোট ইভিএমে হোক বা ব্যালটের মাধ্যমে সেটা সম্পূর্ণই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত এ নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই।  যাদের ভোটে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারাই এ বিষয়ে বিরোধিতা করছে।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *