অন্য কোনো দলের প্রতি বা নেতাদের প্রতি নির্ভরশীলতা নয়, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হবে নির্বাচন এমন দাবিতে বিএনপি তার নিজস্ব শক্তির মাধ্যমেই আ’/ন্দো’/লনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। নেতারা বলছেন, গত দুই বার তারা নির্বাচন নিয়ে অনেক ভূল করেছে, এবার সেই ভুল হতে শিক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে তারা এবার মাঠে নামবেন। তবে তাদের যারা মিত্র দল হিসেবে এখনও রয়েছে তারা এই বিষয়ে এখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয়।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি তাদের নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এটি তাদের শেষ অবস্থান নয়। এবং যদি তারা জনগণের আস্থা অর্জন না করে, তাহলে তাদের আ’/ন্দো’/লন স্থল হারাবে। জাতীয় নির্বাচনের বাকি দুই বছর। যেন এখন ভোটের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে।
সিরিজ বৈঠক থেকেই নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে বিএনপি। সভা সেমিনারে বারবারই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে নিজেদের ক’ঠো/র অবস্থানের জানান দিচ্ছে দলটি। আ’প/ত্তি আছে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া নিয়েও। গত দুই বারের নির্বাচনে নিজেদের দা’বি আদায়ে ব্যর্থ এই দলটি তাহলে এই দ’ফায় হিসেব মেলাতে কষছে কোন ছক?
শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তারা। এবার আর পরনির্ভরশীলতা নয়, দাবি আদায়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে নিজেরাই। এই যাত্রায় জনগণকে বড় অ’/’স্ত্র বললেও সেই জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে কি না তা নিয়েও জো’র বক্তব্য দিতে পারছেন না নেতারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, আমরা বিগত দিন থেকে শিক্ষা নেব। যাদের এক নেতা এক দল তাদের ওপর নির্ভরশীল হবো না। বিএনপি নিজ শক্তিতে এগোবে। আমার মনে হয়, জনগণের সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। এবার বিএনপি যখন আ’/ন্দো’/লনের ডাক দেবে, জনগণ সঙ্গে থাকবে বলে আমরা মনে করি। শরীক দলগুলোর চূড়ান্ত পরিকল্পনা সাজাতে হবে আরও সময় নিয়ে।
বাংলাদেশে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বলেন, নির্বাচন আরও দুই বছর পরে, অনেকটা দিল্লি অনেক দূর। এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এটা বিএনপির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমাদের সিদ্ধান্ত নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার না হলে আমরাও যাব না নির্বাচনে। তবে সবার আগে ভোটারদের কাছে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করার কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশপাশি জনগণ কেন তাদের ওপর আস্থা আনবে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা জ’রুরি বলে মত তাদের।
ড. জহরুল্লাহ যিনি একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক তিনি বলেন, বিএনপিকে এই মুহূর্তে বলা উচিত যে আমরা সব ধরনের বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে চাই। নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না, এটি কোনোভাবে ভাল ফলাফল আনতে পারবে না। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যাতে করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সকল দল অংশ নিতে পারে। নিরপেক্ষ সরকার আসবে এটা চিন্তা করে আমাদের মাঠে নামা উচিৎ। আমাদের ভবিষ্যতের বিষয়টকেও ভাবতে হবে। রাজপথে আন্দোলনে নামার সাথে সাথে সরকারের সাথে সকলল বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।