দেশের এক ফুটবলপ্রেমী ব্যারিস্টার সুমন। তিনি চান বাংলাদেশে ফুটবলকে উচ্চপর্যায়ের দাঁড় করাতে। যার জন্য ব্যারিস্টার সুমন একাডেমির সকল প্লেয়ারদের নিয়ে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলছে দিনরাত। দেশের ফুটবলের বর্তমানের অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন ব্যারিস্টার সুমন।
সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, খুব তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে হবে। তবে মনে মনে একটা বড় আশা, দেশের ফুটবলের অবস্থা দাঁড়া করানোর আগে যেন শুয়ে না পড়ি। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শুরুর আগে ব্যারিস্টার সৈয়দুল হক সুমন এ কথা বলেন।
কিশোরগঞ্জ জেলাকে সভাপতির জেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জেলার মাটির গন্ধ নিয়ে আমি গিয়েছিলাম। ফুটবল প্রেমের জন্য কিশোরগঞ্জের সাথে যেভাবেই হোক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে।
এদিকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্যারিস্টার সুমন তার ফেসবুক আইডিতে কিশোরগঞ্জকে বিদায় জানান। আপনার মন জয় করা সহজ কিন্তু ফুটবলে আপনাকে হারানো খুব কঠিন।
প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে ইশাখা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। এতে অংশ নেন ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও ইশাখা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
৯০ মিনিটের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে ইশাখা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। শেষ পর্যন্ত ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমীকে ২-০ গোলে হারিয়ে খেলায় ইশাখা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জয়ী হয়।
ইশাখা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড.প্রিয়ব্রত পাল, গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আরজ আলী, ইশাখা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রিয়াদ আহমেদ তুষার, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ও র্যাব। অন্যান্য.
ফুটবল ম্যাচ শুরুর আগেই পুরোনো কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়াম দর্শকে ভরে যায়। প্রায় ৫০ হাজার দর্শক এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করেন। সব মিলিয়ে করোনার কারণে দুই বছর পর ব্যাপক হারে এই ফুটবল খেলা উপভোগ করেছে জেলার মানুষ।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার সুমন দেশের সকল ফুটবলারদের নিয়ে উচ্চ প্রত্যাশা করেন। যেকোনো একাডেমি হোক না কেন দেশের জন্য ভালো খেলা উপহার দিলে ব্যারিস্টার সুমনের মন খুশিতে ভরে ওঠে। সম্প্রতি তার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি। সাপজয়ী চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশী এক নারী খেলোয়াড়কে তার একাডেমির পক্ষ থেকে বাড়ি তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেন, শুধুমাত্র দেশের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য এবং পরবর্তীতে দেশের জন্য আরো ভালো কিছু উপহার যেন দিতে পারে সেই প্রত্যাশায়।