রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পানি আনতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়া সেই রহিমা বেগমকে (৫২) উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২৮ দিন ধরে এক আত্মীয়র বাসায় রীতিমতো গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। তবে উদ্ধারের পর রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে উঠেছে এক গুরুতর অভিযোগ। প্রতিবেশীকে ফাঁসাতেই নাকি আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
আমরাও রহিমা বেগম (৫২) ফিরে আসবে বলে আশা করছিলাম। আমরাও চেয়েছিলাম তার কোনো ক্ষতি না হোক। জেলে বাবা, রহিমা বেগমকে মুক্ত করার চেষ্টার চেয়ে তাকে উদ্ধার বা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারেই বেশি আগ্রহ ছিল। যাই হোক, আল্লাহর রহমতে পুলিশ অবশেষে তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। রহিমা বেগম নিখোঁজের ঘটনায় আমার বাবা হেলাল শরীফ নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাকে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হচ্ছে। এর ফয়সালা কে দেবে? আল্লাহ সর্বদা সত্য প্রতিষ্ঠা করেন। আমরা এখন চূড়ান্ত সত্য দেখার অপেক্ষায় আছি।
নিখোঁজ রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর মামলায় গ্রেফতার হেলাল শরীফের মেয়ে অন্তরা ফাহমিদা গণমাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান। শনিবার রাতে রহিমার উদ্ধারের খবর পেয়ে অন্তরা সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, আমার বাবার কোনো দোষ নেই, তার কেন শাস্তি হবে? বাবা কবে মুক্তি পাবে?’
এর শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অন্তরা ফাহমিদা ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘অনেকে আমার কাছে প্রশ্ন করছেন, আমার বাবার গ্রেফতার হওয়ার কারণ কী? আমার বাবার দোষ কী ছিল? আসলে আমার বাবার দোষ এটা যে, আমার বাবা হেলাল শরীফ ও কিবরিয়া চাচ্চু দুজনে মিলে জমি কিনেছেন। তারা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে টাকা জমিয়ে জমি কিনেছিলেন। আমার বাবা ও চাচ্চু রহিমা বেগমের সৎছেলে ও মোহরির কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। সৎছেলেদের এ জমি বিক্রি করাটা রহিমা বেগম মেনে নিতে পারেননি। তিনি একাই এই জমি ভোগ-দখল করতে চেয়েছিলেন।
‘এই জমিটা কিনেছিলেন আমার বাবা ও কিবরিয়া চাচ্চু কয়েক বছর আগে। কিছুদিন আগে তারা এই জমির দখলে যেতে চান। তখন রহিমা বেগম জমির দখলে বাধা দিতে বিভিন্ন রকম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেন। তিনি এই মামলার আগেও মামলা করেছেন। যখন এই পাঁচ জন আসামি জমির ওই মামলা থেকে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন তখন তারা নতুন করে এই মামলাটি দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, এই মামলার সঠিক তদন্ত হলে আমার বাবাসহ আরও যে চার জনকে সন্দেহের ভিত্তিতে দোষারোপ করা হয়েছে তারা সবাই নির্দোষ, মুক্তি পাবেন। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন খুব দ্রুত সবাই মুক্তি পান। সবাই দয়া করে পোস্টটি শেয়ার করবেন।’
এর আগে গত ২৭ আগস্ট বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর দীর্ঘ অভিযান চালিয়ে গতকাল ফরিদপুর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এই মুহূর্তেই পুলিশের হেফাজতেই রয়েছেন তিনি।