Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আলোচনার মাধ্যমেই বাছাই করতে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী

আলোচনার মাধ্যমেই বাছাই করতে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী

চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে অনেক জেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। বাকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে চলছে যাচাই-বাছাই। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে প্রার্থী বাছাইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন দলের রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন। ৮৪৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে আর সেটাকেই ঘিরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড গত চারদিন ধরে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছে কিন্তু তার পরেও শেষ করতে পারেনি চলমান কাজ। গতকাল অর্থাৎ রবিবার ঢাকা বিভাগের ৮ জেলায় এবং সিলেট বিভাগের সমস্ত জেলাগুলোর প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ করে। আজ অর্থাৎ সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজের বিষয়ে আবার বৈঠক শুরু হবে।

জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সবার বিষয়ে নানা আলোচনার পরই মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্যই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে কিছুটা বেশি সময় লাগছে। মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করতে আরো এক বা দুই দিন সময় লেগে যেতে পারে।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম ধরে আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। যাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, তাঁদের যোগ্যতা, অযোগ্যতাসহ স্থানীয় রাজনীতির নানা বিষয় আলোচনার পরই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এ জন্যই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৈঠক করেও এখনো আট বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ শেষ করতে পারেনি মনোনয়ন বোর্ড।

প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের পরিকল্পনা ছিল তিন দিনে দেশের আট বিভাগের সব ইউপিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। প্রথম দিনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ, দ্বিতীয় দিনে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল এবং তৃতীয় দিনে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা ছিল।

গত ৭ অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বৈঠক করেন দলের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। প্রথম দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন পরিকল্পনা অনুসারে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। পরের দিন বৈঠক শুরু হয় বিকেল ৪টায়। এদিন বরিশাল, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের আংশিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এর পরদিন শনিবার বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সব ইউপি এবং ঢাকা বিভাগের পাঁচ জেলায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক দেশের একটি গনমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি ইউনিয়নেও আলোচনা ছাড়া প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন না আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রার্থীদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরই ঠিক করা হচ্ছে নৌকার প্রার্থী কে হবেন।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় সরকারের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার ২১ উপজেলার ১৭৬টি ইউপি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ২২ উপজেলার ১৬৫টি ইউপি, রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ১৪ উপজেলার ১১২টি ইউপি, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১৮ উপজেলার ৪৮ ইউপি, রংপুর বিভাগের আট জেলার ১১ উপজেলার ৮৪ ইউপি, সিলেট বিভাগের চার জেলার সাত উপজেলার ৪৫ ইউপি, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার আট উপজেলার ৮৪ ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে

ইতিমধ্যে যে সমস্ত এলাকায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব এলাকায় বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেছে। এদিকে বিএনপি যে সমস্ত প্রার্থী রয়েছে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তবে ক্ষমতাসীন দল দাবি করছে, বিএনপি প্রার্থীরা ভিন্নভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তাছাড়া এই নির্বাচনে অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তবে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বলা হচ্ছে ভিন্ন কথা

About

Check Also

খেজুর-পেঁয়াজ নিয়ে আসা জাহাজ কেন বাধা দিবো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পার্শ্ববর্তী দেশের গণমাধ্যম মিথ্যা প্রচারের ক্ষেত্রে এগিয়ে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *