হঠাৎ করে দেশের নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের বাজারে অস্তিরতা বিরাজ করছে। লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের বেশ কিছু নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম। এরই মধ্যে প্রথম সারির অবস্থানে রয়েছে চাল। এই চালের দাম বৃদ্ধি এবং অসহায় মানুষদের চলমান পরিস্তিতি প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানালেন বেশ কিছু কথা।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে এটা আমি অস্বীকার করব না। কম আয় বা সীমিত আয়ের মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ অবস্থা নাই। তিনি বলেন, কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে কৃষকের জন্য কৃষিকে লাভজনক খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা যেভাবে কাজ করে চলেছেন তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। কৃষির সার্বিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমরা সবার কাছে খাবার পৌঁছে দিতে চাই। দেশে পর্যাপ্ত খাবার মজুত আছে। রবিবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) ‘কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০২১’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন কৃষিমন্ত্রী। কর্মশালা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। গত অর্থবছর যে সব গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বৃদ্ধি পাওয়া নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে আপ্রান ভাবে কাজ করছে সরকার। ইতিমধ্যে এরই লক্ষ্যে গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ। এমনকি দেশের চাহিদা মেটাতে এবং দাম জনসাধারনের হাতের নাগালে রাখতে বিশ্বের বেশ কিছু দেশ থেকে সরকার আমদানি করছে নিত্যেপ্রয়োজনীয় অনেক পন্যে।