সম্প্রতি দেশে বেশ কিছু নিত্যেপ্রজনীয় পন্যের দাম লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বেশ বিপাকে পড়েছে দেশের মানুষ। বিশেষ করে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। সম্প্রতি এই লামাহীন দ্যব্যে মূল্যের প্রসঙ্গ তুলে সরকারের সমালোচনা করে বেশ কিছু কথা জানালেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরও জানিয়েছেন দেশের বর্তমান সরকারের নানা কর্মকান্ড।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ নীরবে আ/র্ত/না/দ করছে। ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত। ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো রকম যে দায়িত্ব আছে সেটি তারা মনে করে না। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দয়ামায়া নেই। তাই আজকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যারা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগার বা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে। তিনি বলেন, বর্তমানে এক শাসরুদ্ধকর দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন। রাষ্ট্রীয় লুটেরা দস্যুদের পায়ের তলে অশ্রুপাত করছে মানবতা রিজভী বলেন, করোনার অ/ভি/ঘা/তে মানুষের আয় রোজগারে যখন টানাপড়েন অবস্থা তখন হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারদর। খাদ্যদ্রব্য, চাল, ডাল, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, তরিতরকারি, মাছ-মাংস, পোলট্রি মুরগি, ডিম, চিনি, দুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য দ্রব্যগুলোর মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন এবং ক্রমে এসব পণ্য সংগ্রহ অসম্ভব হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর জন্য।
‘পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলও বৃদ্ধি করা হয়েছে পাল্লা দিয়ে। গতকালও এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে সরকারের প্রচ্ছন্ন ম/দ/তে আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনা/ফা/খো/র, মজুতদার সি/ন্ডি/কে/ট।’ তিনি আরও বলেন, বর্গীরা যেমন আগে বাংলাদেশে আসত, লু/ট করত আর চলে যেত। এরাও ঠিক একইভাবে লু/ট করছে। বিদেশে তাদের বিত্ত তৈরি করছে এবং সেখানে দেশের সম্পদের পাহাড় গড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী নিজেরাই ব্যবসায়ী এবং এই সি/ন্ডি/কে/টের সঙ্গে জড়িত।
এমনিতেই দেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। এই ভাইরাসের প্রকোপে দেশের মানুষ নানা ধরনের ক্ষতির কবলে পরেছে। এরই মধ্যে আবার দ্রব্যে মূল্যের উধর্বগতির ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশের মানুষ। এমনকি আয়ের তুলনায় দেশের মানুষের খরচের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।