বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ নানা বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বিশ্ব দরবারে অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। অর্থনীতিতেও বেশ সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি এই সফলতার মধ্যে দিয়ে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের তালিকায় জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
গত পাঁচ দশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) রবিবার প্রকাশিত তাদের নিউজ বুলেটিনে জানিয়েছে এই তথ্য। বুলেটিনে বলা হয়, কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছিল, যা কখনও কখনও ৭-৮ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। আইসিসিবির বুলেটিনে বলা হয়, ৪০ বছরেরও কম সময়ে দেশের পোশাক শিল্প সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশের অন্যতম সাফল্যের গাথা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পোশাক রপ্তানি থেকে বছরে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে। দেশের বেশ কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি ১১৯টি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছে। বাংলাদেশ চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প, কৃষি পণ্য, সমুদ্রগামী জাহাজ, সফটওয়্যার ইত্যাদি রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং জাতিসংঘের ‘স্বল্পোন্নত দেশের’ তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার পথে রয়েছে। ৩০৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি জিডিপি নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং পূর্বাভাস বলছে যে, অদূর ভবিষ্যতে এ অর্থনীতির আকার দ্বিগুণ হতে পারে। জিডিপি বৃদ্ধির পাশাপাশি এখন মাথাপিছু আয়ও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে (২,২২৭ মার্কিন ডলার)। দারিদ্র্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে সাফল্য বিশ্বসেরাদের মধ্যে অন্যতম। আইসিসিবি বুলেটিনে বলা হয়, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ২০২০ সালে জিডিপিতে শিল্পের অংশ ছিল ২৮.৭৯ শতাংশ এবং জিডিপিতে এসএমইর অংশ প্রায় ২৫ শতাংশ।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য আপ্রান ভাবে চেষ্টা করছেন। এমনকি স্বল্পোউন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে গ্রহন করেছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ।