দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ লেগে আছে। যার জন্য বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সীমান্ত প্রায় সময় শোনা যায় গোলাগুলির শব্দ। এর আগেও অনেকবার মায়ানমার সেনাদের সাথে বাংলাদেশি সেনাদের যুদ্ধ হয়েছে। শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশি সেনাদের হাতে পরাজিত হয়ে নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয় মায়ানমারের সেনারা। তবে মায়ানমারের সাথে কোনভাবেই যুদ্ধে জড়াতে চায় না বাংলাদেশ। যার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে বাংলাদেশ সরকার।
বান্দরবানের তাম্বারু সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেলিং ও হতাহতের বিষয়ে বার্মার রাষ্ট্রদূত অং চয় মোয়েকে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চতুর্থবারের মতো তলব করা হয়।
রোববার বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাপরিচালক নাজমুল হুদা তাকে তলব করেন।
জানা গেছে, রোববার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং চয়ে মোসহ দুইজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন । এ সময় সীমান্তের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
এর আগে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালে ১৫ থেকে ১৭ মিনিট বসিয়ে রেখে রাষ্ট্রদূত ও দুজনকে ডেকে নেন মহাপরিচালক মোঃ নাজমুল হুদাকে অফিসে ডাকা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তুম্বারু সীমান্তের ৩৪ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া তিনটি মর্টার শেল পড়ে। তাদের মধ্যে একটি বিস্ফোরণে জিরো লাইনের রো/ হিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মোহাম্মদ ইকবাল (১৭) নামে এক যুবক নি/ হত হন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। রাতেই তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাত পর্যন্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তে গুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। ভয়ে জিরো লাইনের রো////হিঙ্গারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিলেও সকালে ক্যাম্পে ফিরে যায়। তবে পুরো তুম্বারু ও ঘুনধুম এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ সকল ঘটনার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত সাধারণ জনগণরা বেশ ভয় দিনযাপন করছে। যদিও বাংলাদেশি সেনাদের কড়া পাহারায় রয়েছে তারা। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে নিয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারন মানুষ। যার জন্য সুষ্ঠু সমাধানের আশা রেখে মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার।