বিশ্বব্যাবংক হলো একটি দাতা সংস্থা। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই রয়েছে এই ব্যাংকের ব্যাপ্তি। বিশ্বব্যাংক নির্দিষ্ট একটি সুদে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে সেই সাথে একটি নির্দিষ্ট সময়ও নির্ধারণ করে দেয় ঋণ পরিশোধের জন্য। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন করতে সমর্থ হয়েছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে ঢাকা সফরে আসছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সফরে আসছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। সোমবার তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।
তিন দিনের এই সফরে তিনি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাতের নেতা, সুশীল সমাজ ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
রাইসার বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির অংশীদার হতে পেরে বিশ্বব্যাংক গর্বিত।
তিনি যোগ করেছেন, “আমি স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার অপেক্ষায় আছি কারণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির একাধিক ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে।”
রাইজার একজন জার্মান নাগরিক। চলতি বছরের ১ জুলাই তিনি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। এর আগে তিনি চীন, মঙ্গোলিয়া ও কোরিয়ায় বিশ্বব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তুরস্ক ও ব্রাজিলে কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া অর্থ কাজে কাজে লাগিয়ে দেশকে নিয়ে গেছে উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে এখন ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত দেশের দিকে। বাংলাদেশের এত বড় একটি অর্জন সত্যিই অবিশ্বাস্য। বর্তমান সরকারের বিচক্ষণ ও দক্ষভাবে দেশ পরিচালনার জন্যই এমনটা সম্ভব হয়েছে।