বিয়ের আগে অনেক তরুণ-তরুণী প্রেমের সম্পর্ক থাকে। তবে সবাই তাদের প্রেমকে সার্থক করতে পারে না। অনেকেরই বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্রে। এমন একটি ঘটনা মেনে নিতে পারেনি প্রেমিক। তাইতো প্রেমিকার বিয়ের পরেও তার শ্বশুর বাড়ির আশেপাশে বিচরণ করতে থাকে সে। এক পর্যায়ে এমনই ঘটনা ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
এই ঘটনা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানা যায়, মাদারীপুরে সাবিহা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূ আ/ ত্মহ/ ত্যা করেছেন। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার কলেজ রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সাবিহা বেগম কালকিনি উপজেলার মিয়ারহাট ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বোরহান সরদারের মেয়ে। তার স্বামীর নাম ইসমাইল সরদার। সাবিহা বেগমের ১৫ মাসের একটি মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবিহার স্বামী সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় কালকিনি উপজেলা ইউনিয়ন মিয়ারহাটের ভবানীপুর এলাকার রবিন ফারহানের সঙ্গে সাবিহার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইসমাইল সরদারের সাথে সাবিহার বিয়ের পর মাঝে মাঝে মাদারীপুর সদর উপজেলা কলেজ রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় আসতো রবিন। জুমার নামাজ শেষে সাবিহার স্বামী বাসায় ফিরলে রবিন বাড়ি থেকে বের হয়। প্রতিবেশীরা তার স্বামীকে আশার রবিনের বাড়িতে আসার কথা জানায়। লজ্জায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আ/ ত্মহ /ত্যা করেন সাবিহা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার রোবায়েত ইবনে হাবিব এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর আমরা তাকে মৃ/ত অবস্থায় দেখতে পাই।
সাবিহা বেগমের স্বামী ইসমাইল সরদার বলেন, রবিন বাড়ি থেকে বের হলে আমার সঙ্গে দেখা হয়। আমার স্ত্রী লজ্জায় ফ্যানের সাথে ঝুলেছে কারণ আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছি। আমি রবিনের ফাঁ/ সি চাই।
সাবিহার মা কুলসুম বলেন, রবিনের কারণে আমার মেয়ে আ/ ত্মহ/ ত্যা করেছে। আমি রবিনের ফাঁ/ সি চাই।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আ/ ত্মহ/ ত্যা করেছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেয়েটির স্বামী সম্পন্ন বিষয়টি বুঝতে পেরেছিল যে তার স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক বিয়ের পরেও তার বাড়ির আশেপাশে থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিয়ে সংসার কলহের সৃষ্টি হয়। তাইতো আত্মহননের বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে ধারণা করছেন তারা।