Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / প্রয়োজন হলে মরে যাব কিন্তু কখনই যাবো না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন

প্রয়োজন হলে মরে যাব কিন্তু কখনই যাবো না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন হলেন সাদেক হোসেন খোকার পুত্র। সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন বর্ষিয়াণ নেতা। তিনি অবিভক্ত ঢাকার মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ইশরাকের পিতা সাদেক হোসেন খোকা একজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। সম্প্রতি ইশরাক হোসেন তার এক বক্তব্যে বলেছেন মরে যেতে হলে মরে যাব, তবুও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে বিএনপির লক্ষ্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। তিনি বললেন, এর জন্য যদি আমাকে মরতে হয়, আমি মরব। তা না হলে গণতন্ত্র আসবে না।

ডয়চে ভেলের ‘খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চায়’ টকশোতে উপস্থিত হয়ে ইশরাক হোসেন এ কথা বলেন৷ বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার লক্ষ্য এবং বিএনপির বর্তমান আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার এবং বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তাই বিএনপির এমন সিদ্ধান্ত

ইশরাক বলেন, এই সরকার আমাদের কোনো জায়গা দিচ্ছে না। আমরা সবকিছু সহ্য করে জনগণের সাথে যুদ্ধ করেছি এবং এখন আমরা একটি বাহিনী গড়ে তুলছি এবং কোমরছুটি পূরণ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আরও এক লাখ কর্মী নিহত হলে আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না।

আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে আলোচনায় আসতে চায়, তাহলে তা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয়। সেজন্য আলোচনার বিকল্প নেই।

শামীম হায়দার বলেন, রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে হবে। বর্জন মানে পাঁচ বছর অচলাবস্থায় থাকা নাকি ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে নিশ্চয়ই ওয়ান ইলেভেনের পরিস্থিতি রাজনৈতিক দলের জন্য কাম্য নয়?”
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে কিন্তু ক্ষমতা ছাড়া বাঁচতে পারে না। তাই বিএনপি যে পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তা তারা হতে দেবে না তাই সবাইকে ছাড় দিতে হবে।

তিনি মনে করেন, এবারের পরিস্থিতি ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নয়

“আওয়ামী লীগ দরজা খোলেনি, কিন্তু রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে খুব সক্রিয়, কথা বলছে, সরকারের সাথে দেখা করছে… নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সব জায়গায় যাচ্ছে। এর মানে তারা নিবিড়ভাবে নির্বাচন পূর্ব পর্যবেক্ষণ করছে।” পরিস্থিতি, নির্বাচনের দিন পরিস্থিতি এবং নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি ২০১৮ বা ২০১৪ সালে ছিল না,” বলেন গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য ড.

জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে বলেই বিদেশিরা বাংলাদেশে এত সক্রিয় হতে পারে। তবে দুজনেই বলেছেন, জনগণের মুখোমুখি না হয়ে বিদেশিদের দিকে তাকানো কখনোই দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।

প্রসঙ্গত, আসনন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা তাদের কর্মসূচী পালন করা শুরু করে দিয়েছে। আর সেই অনুসারেই ই৯শরাক হোসেন যিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য তিনি দলকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার কথা বার্তা ও কাজে মনে হচ্ছে তিনি একজন নাছর বান্দা। ইশরাক হোসেন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তার কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন। তবে দেশের মানুষ আশা করছে প্রত্যেকবারের মত এবারো দেশে সুষ্ঠও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

About Shafique Hasan

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *