Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / National / বাংলাদেশের রেলখাতে বিনিয়োগর আগ্রহ প্রকাশ তুরস্কের

বাংলাদেশের রেলখাতে বিনিয়োগর আগ্রহ প্রকাশ তুরস্কের

যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম একটি মাধ্যম ট্রেন। বর্তমান সরকার এই খাতের উন্নয়নের জন্য নিরলস আভাবে কাজ করছে। এমনকি দেশের বিভিন্ন অঞ্বলের সাথে এই ট্রেন ব্যবস্থার সংযোগ স্থাপনের জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রেল খাতের উন্নয়নের জন্য বিনোয়োগের ইচ্ছা পোষন করেছে তুরষ্ক। দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে চুক্তি হলে দুই দেশেই উপকৃত হবে।

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে রেলভবনে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে রেলখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রোববার (১০ অক্টোবর) সাক্ষাতের সময় রেলপথমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, রেলখাতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছি। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান আছে এবং আগামীতে আরো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, রেলখাতের উন্নয়নে আমাদের একটি মহাপরিকল্পনা আছে, সেটি ধরে ধরে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। রেলমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের রেললাইন ছিল তিন হাজার কিলোমিটার, বর্তমানে সেটি হয়েছে ২৮০০ কিলোমিটার। আমাদের রেলপথ যমুনা নদীর মাধ্যমে দুই ভাগে বিভক্ত। পশ্চিমে ব্রডগেজ আর পূর্বে মিটারগেজ। আমাদের বেশির ভাগই সিঙ্গেল লাইন। আমরা পর্যায়ক্রমে সব সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছি।

মন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তখন থেকেই সরকার রেলখাতে বিনিয়োগ শুরু করে। বর্তমানে চলমান কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণ কাজ চলমান। ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আমরা নতুন নতুন লোকোমোটিভ ও প্যাসেঞ্জার কোচ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করছি। আমরা রেলের কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা ইলেকট্রিক ট্রাকশনের দিকে যাব, বলেন মন্ত্রী। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, যেকোনো দেশের পরিবেশবান্ধব, সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে রেলওয়ে। বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে রেলখাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, তুরস্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইসি উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমান সময়ে তুরষ্ক সহ বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। এমনকি ইতিমধ্যে বিশ্বের বেশ কিছু উন্নত দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে নানা বিষয়ে কাজ করছে। এছাড়াও বিশ্বের কিছু দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

About

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *