Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নেই: মির্জা ফখরুল

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নেই: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ থেকে সহিংসতার মত বিষয়টিকে একদম বন্ধ করার একটি উপায় বাতলে দিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে এবং যেটা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধরনের সহিং”সতা বন্ধ করার জন্য একমাত্র উপায় হলো নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তিনি যোগ করে বলেন, একমাত্র উপায় সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে সহিংস ঘটনা চিরতরে বন্ধ করা।

বাংলাদেশ থেকে সহিং”সতা চিরতরে বন্ধের পথ পরিষ্কার করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সহিং”সতা চিরতরে বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। আমরাই (বিএনপি) সংবিধান পরিবর্তন করেছি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার)। এখন আপনার (আওয়ামী লীগ) সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই খুব সহজেই সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যুক্ত করুন।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিহাস বলে, কোনো সরকার এ ধরনের নির্যা”তন চালিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট সরকার দমন-পী’ড়নের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকে। এখন বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে খু”/ন-গু”মের মধ্যেও মানুষ জেগে উঠেছে।

তিনি বলেন, ভোলায় গু’লিব”র্ষণের পরও সাধারণ মানুষ ভয় পায়নি। নেতাকর্মীরা ভয় পায়নি। একইভাবে এরপর থেকে তারা সারাদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু শহরেই নয়, গ্রাম-ইউনিয়নেও বড় আকারের মি’ছিল হচ্ছে। আমরা মনে করি মানুষ জেগে উঠেছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটি গণতান্ত্রিক দল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের চাহিদা খুবই কম। নির্বাচনকে নির্বাচনের মতো করুন। নির্বাচনকে ঠিক করা, সুস্থ করা। নির্বাচনকালীন আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই তাদের পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১০ বছরে এ পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হ”/ত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি করায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়। সভা মনে করে, এ হ”/ত্যাকাণ্ডে সরকারি দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। যার কারণে নজিরবিহীন বিলম্ব হচ্ছে। অবিলম্বে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বৈঠক ডাকা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান। তিনি নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পুতুল বলে মনে করেন। তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে কখনো নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *