ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দুর্নীতি ও লুটপাটের মা্ধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সংকটে ফেলছে। উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প করে দলের নেতাকর্মী পকেট ভরিয়েছে। যার কারনে বিদ্যুৎ সেক্টরে এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। আর সাধারন জনগন এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। প্রথমত দেশের মানুষ বিশ্বব্যাপি রোগের প্রভাবে জীবন যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছে তার ওপর অসহনীয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের বৃদ্ধিতে দিশেহারা। সরকারে এদিকে কোনো নজর নাই তারা ক্ষমতা ধরে রাখা নিয়ে ব্যস্ত। আগামীতে ক্ষমতায় থাকতে আ. লীগ ভারতের গোলামি করছে মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপি সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ।
বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুন অর রশীদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামীতে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ভারতের গোলামি শুরু করেছে। এ সরকার উন্নয়নের কথা বললেও সারাদেশে জুলুম নি/র্যাতন আর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করছে। নানা কৌশলে ব্যাংকগুলো লুটপাট করে তহবিল শূন্য করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনপ্রতিনিধিত্বহীন গণবিরোধী স্বৈরাচার সরকার কর্তৃক জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামসুল হাসান ছামসুল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ এড়িয়ে চলুন এবং সবার সঙ্গে সহনশীল আচরণ করুন। যাতে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির ১নং সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ হারুন বলেন, ২০২৩ সালের নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে নানা ষ/ড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ কেন্দ্র দখল করে আবার ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছে। তাদের এই স্বপ্ন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গুড়ে বালি করে দেয়া হবে।
সমাবেশের শুরু থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক সরকারবিরোধী মিছিলসহ ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। একপর্যায়ে গোটা সমাবেশ চত্বর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্রসঙ্গত, সরকার আবারও ষ/ড়যন্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেন বিএনপি সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, এই সরকারকে জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে হটানো হবে।