শোবিজ অঙ্গনের সুপরিচিত চেনা মুখ চঞ্চল চৌধুরী। তিনি অসংখ্য নাটক এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি সিনেমায়। তার অভিনীত নাটক এবং সিনেমা দর্শক মাঝে বেশ প্রসংশিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে এই জনপ্রিয় অভিনেতা অনলাইন প্লায়ফর্মেও কাজ করছেন। সম্প্রতি চরকিতে মুক্তি পেয়েছে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘মুন্সিগিরি’। এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন তিনি।
চরকিতে মুক্তি পেয়েছে ‘মুন্সিগিরি’। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। নতুন ধরনের চরিত্রে কাজ করে কেমন লাগল, দর্শক হিসেবেই–বা ছবিটি কেমন লাগল? ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে কথা বললেন এই অভিনেতা।
‘মুন্সিগিরি’র প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
ভালো। দর্শকের রেসপন্সও ভালো। অনেকে ‘আয়নাবাজি’র সঙ্গে কম্পেয়ার করছেন। কিন্তু ‘আয়নাবাজি’ ও ‘মুন্সিগিরি’ তো এক নয়। দুটি দু–রকম গল্প, আলাদা চরিত্র। তবু কিছু মানুষ তুলনা টানছেন। আমি সেটাকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছি না। অনেকে বুঝে না–বুঝে কমপেয়ার করেন।
দর্শক হিসেবে আপনার কেমন লাগল?
আমি দেখেছি, ভালো লেগেছে। অনেকে আমাকে টেক্সট করছেন, ফোনে তাঁদের ভালো লাগার কথা জানাচ্ছেন, স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। যে রিভিউগুলো বের হচ্ছে, তার ৯৫ ভাগ প্রতিক্রিয়া পজিটিভ।
আপনার স্ত্রী আর ছেলের কেমন লেগেছে?
যে গল্পগুলো আমার ভালো লাগে না, আমি সেগুলোয় কাজ করি না। নির্মাতা পছন্দ না হলেও কাজ করি না। অমিতাভ রেজা চৌধুরী নিশ্চয়ই এমন কোনো গল্পে আমাকে নিয়ে কাজ করবেন না যেটা দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত ও কাজের সম্পর্ক ভালো, শিবব্রত বর্মনের গল্পটাও তিনি ভালো নির্বাচন করেছেন। চরিত্রটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, কারণ এ ধরনের চরিত্রে আগে আমার কাজ করা হয়নি। আমি যাচাই-বাছাই করে প্রজেক্ট হাতে নিই, আমার পরিবারেরও আমার কাজের ব্যাপারে একরকম আস্থা আছে। শুদ্ধ তো খুবই আগ্রহী ছিল ছবিটা নিয়ে। ‘মুন্সিগিরি’ ৩০ তারিখে চরকিতে আসবে, তিন দিন আগে থেকে সে আমাকে অস্থির করে রেখেছিল, ‘বাবা কখন আসবে? ২৯ তারিখ রাত ১২টা ১ মিনিটে?’ আমি শেষ পর্যন্ত রেদওয়ান রনিকে ফোন করলাম। বললাম, ছেলে তো মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। সে বলল, দাদা আমরা নতুন যে কোনো কিছু ছাড়ি রাত ৮টায়। শুদ্ধ ছবিটা দেখল, একাধিকবার দেখল। সে পজিটিভ।
ওর বয়সে আমরা গোয়েন্দা বই পড়তাম। শুদ্ধ কী পড়ে?
গোয়েন্দা বই পড়ে না, কিন্তু গোয়েন্দা কাহিনি দেখে। ফেলুদা, ব্যোমকেশ সবই ওর দেখা। কোভিডের মধ্যে আমরা বাসায় প্রতিদিন দুই-তিনটি করে সিনেমা দেখতাম, গোয়েন্দা কাহিনি দেখতাম। সে হরর ভয় পায়। হরর ছবি ওর সঙ্গে আমার দেখা হয় না, এ ছাড়া প্রায় সব ধরনের গল্পের ছবি দেখি বাসায়। সৌমিত্র থেকে অনির্বাণ—সব সে পছন্দ করে।
আপনার পছন্দের কিছু ভিজ্যুয়ালের কথা জানতে চাই।
ওভাবে মাথায় নেই। মাথায় রাখি না। মুশকিল হচ্ছে, আমরা কাজের সময় অনেক রেফারেন্স খুঁজি। রেফারেন্স বিষয়টি আমার একেবারেই পছন্দ না। অনেকে আছেন, হলিউড-বলিউডের বিভিন্ন মুভি দেখে কথায় কথায় রেফারেন্স ঝাড়েন, হয়তো কথায় কথায় ১০টি ছবির নাম বলে দেন। এসব কারণে এতে আমার আরও বেশি অনাগ্রহ। আমি যখন যে গল্প বা চরিত্রে অভিনয় করি, সেটা যদি আমার অবজারভেশনের ভেতরে থাকে, তাহলে ভালো, সেখান থেকে ক্যারেক্টার ধরার চেষ্টা করি। নয়তো ইমাজিনেশন থেকে চরিত্রটা করি। কোনো রেফারেন্স কাজে লাগাই না। অনেক পরিচালক আমাকে বিভিন্ন মুভি রেফারেন্স হিসেবে পাঠান, আমি সেসব দেখার জন্য দেখি; একটি লাইন, একটি এক্সপ্রেশন বা একটি মুভমেন্ট আমি ওই ক্যারেক্টার থেকে নিই না। নাম না বলি, শেষ যে কটা ছবি করেছি, আমার পরিচালকেরা বললেন, আপনার এই ছবিগুলো দেখা উচিত, দেখেন। আমি বলেছি, আচ্ছা দেখব। দেখেছি। কিন্তু এসব থেকে আমি কিছুই ধার করিনি। পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে যেটা আমার ইমাজিনেশনে এসেছে, আমি সেটিই করেছি। শুরুর দিকে এসব ছিল না, কারণ তখন তো ইউটিউব ছিল না, সুতরাং শেষ দেখা ছবিগুলো আমার মাথায় থাকে না।
ওসব মাথায় রাখার নিশ্চয়ই কিছু বিপত্তিও আছে?
কোভিডে দিনে যদি দুই-তিনটি করে ছবি দেখা হয়, মাসে প্রায় ৭০টা। তিন মাসে দুই থেকে আড়াই শ। শেষ কোন ছবি দেখেছি, সেটি মনে করতেও এক দিন লাগবে। যখন যেটা দেখি, ভালো লাগে, ব্যস শেষ। বয়স-টয়স সব কিছু মিলিয়ে আসলে মাথায় রাখাও যায় না। তবে আমি কাজটা মাথায় রাখি, গল্পটা রাখি। আর যেটা অভিনয় করা হয়ে গেছে, সেটিও মাথায় রাখি না। বয়স বাড়ছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্রেন ব্লক থাকে। কর্ম, পেশা ও সোসাইটির নানা চাপ। বাড়তি প্রেশার নিতে চাই না। আমার স্মৃতিশক্তি আগাগোড়াই কম। ‘মুন্সিগিরি’র গল্প যদি কেউ এক বছর পর এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, বলতে পারব না। ওটা করা শেষ, ব্যস। আমি বরং নতুন চরিত্রটি মাথায় রাখব। এখন কেউ যদি বলে ‘আয়নাবাজি’র একটি ডায়ালগ বলেন, ‘বোঝো নাই ব্যাপারটা’ ছাড়া আর কিছুই আমার মনে পড়বে না। ‘মনপুরা’র কিছু আমার মনে নেই। সারাজীবন ওটা মাথায় রাখতে চাই না। রাখলে সমস্যা। ওই রেফারেন্স আমার অন্য কাজগুলোকে খোঁচাবে। চলে আসবে বারবার। এসব কারণে ভুলে যেতে চাই।
ওটিটির যুগ। এখনকার তরুণদের মধ্যে অনেকে সেখানে ভালো কাজ করছেন। এটা ধরে রাখতে তাঁদের কী করণীয়?
অনেকের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। ভালো অভিনয় করতে চান। কিন্তু শুধু ভালো অভিনয় করতে চাইলেই হয় না, সঙ্গে নিজের জীবনযাপন, চিন্তাভাবনা ও দর্শন ঠিক রাখতে হয়। ইন্ডাস্ট্রি ও নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও ঠিক রাখতে হয়। ভালো অভিনয় তো অনেকেই করতে পারেন, কিন্তু যদি শিল্পের প্রতি দায় না থাকে, তাঁকে দিয়ে হবে না। অভিনয় একটি কম্বাইন্ড ব্যাপার, একটি গুরুমুখী বিদ্যা। একজন অভিনেতা দীর্ঘদিন কাজ করে একটি ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবেন, যদি তাঁর অভিনয়ের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যুক্ত হয়। যেমন সিনসিয়ারিটি, নম্রতা, ভদ্রতা ও শেখার আগ্রহ। অনেকের মধ্যে এই গুণগুলো রয়েছে, আবার অনেকের মধ্যে এসব গুণের অভাব রয়েছে। কারও দেখা যায় কালচারে সমস্যা। অনেকে ভালো অভিনয় করেন, কিন্তু মনে হয় বেশিদূর এগোতে পারবেন না। কারণ অন্য ভাবনাগুলো ক্লিয়ার নয়। অনেকে স্টারডমকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যার যত ফ্যান-ফলোয়ার, তাঁকে তত বড় সেলিব্রিটি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপারটা আসলে একদমই সে রকম নয়। দেখা যায়, অনেকের কাজের চেয়ে ফলোয়ারের সংখ্যা বেশি। কোয়ালিটি কাজ একটি কি দুটি আছে কি না ঠিক নেই, ফ্যান-ফলোয়ার মিলিয়ন মিলিয়ন।
সম্ভাবনাময় দু–একজনের কথা বলবেন?
আলাদা করে কারও নাম উল্লেখ করে কিছু বলতে চাই না। তাতে একটি স্পেসিফিকেশন তৈরি হবে। পরে কেউ যদি কোথাও ফেল করে, তখন তর্ক–বিতর্কের সীমা থাকবে না। একটি কথাই বুঝি, যোগ্যতা অনেকেরই আছে, কিন্তু এটা এক–দুই দিনের কাহিনি নয়। ধরা যাক, ‘তাকদীর’–এ সোহেল মণ্ডল ভালো করেছেন, তাঁর ভেতরে সম্ভাবনা আছে। বাকি রাস্তাটা তিনি কীভাবে এগোবেন সেটি তাঁর দায়িত্ব। প্রথমবার তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন, কিন্তু আমাদের কাজগুলো এমন যে যতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করবেন, ততদিন নতুন নতুন কাজ করে প্রুফ করতে করতে এগোতে হবে। বোঝাতে হবে যে তিনি চলমান আছেন। একটি দীর্ঘ সময় না গেলে কিছুই বলা যাবে না। ‘মহানগর’–এ নূর ইমরান মিঠু ছেলেটি ভালো করেছেন, এটা তাঁর শুরু। আরও ৫০, ১০০ বা ৫০০টি কাজ করে তাঁর কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে হবে। ‘বলি’ প্রজেক্টে কাজ করলাম (জিয়াউল হক) পলাশের সঙ্গে। ভদ্র, সভ্য, ভালো ছেলে, অভিনয় বোঝেন। মনোজ (প্রামাণিক) ভালো কাজ করছেন, খায়রুল বাসার ভালো কাজ করছেন। এ রকম আরও অনেক ছেলেমেয়ে ভালো কাজ করছেন। এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। হঠাৎ একজনকে ভালো বলে দেওয়া যাবে না, কারণ এটা তাদের শুরু। এমনকি আমি নিজেও এখন বলতে পারি না যে আমি একজন সাকসেসফুল অ্যাক্টর। যদি বেঁচে থাকি, আরও ১০ থেকে ২০ বছর কাজ করব। যখন কাজ ছেড়ে দেব, তখন হিসাব করব, সারাজীবনে কী করেছি।
সবাই বলেন চঞ্চল চৌধুরীর সব কাজ সুপারহিট!
যাঁরা বেশি ভালোবাসেন, তাঁরা বলেন। আমি সবকিছুকে হিট মনে করি না। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া, যাঁর মধ্য দিয়ে আমি যাচ্ছি। আমাকে হয়তো অন্যদের থেকে আলাদা করা যায়, সেটি কাজের কোয়ালিটির কারণে বলব না, আমি মানুষটাই অন্য রকম। মানুষ আলাদা না হলে আমার কাজগুলো আলাদা হতো না। আমি মনে করি, ব্যক্তিমানুষকে আলাদা করতে হবে। ৫০০ মানুষ কাজ করছেন, এর থেকে তুমি আলাদা কীভাবে? মানুষ হিসেবে যদি আলাদা হও, তোমার কাজও আলাদা হবে। অন্যরা যে ধারায় কাজ করেন, আমি সেই ধারায় কাজ করি না। আমার কাজ করার পেছনে একটি যুক্তি থাকে, আমি যুক্তি ছাড়া কাজ করি না, আমি টাকার জন্য কাজ করি না। কাজ করি নিজের স্যাটিসফেকশনের জন্য, গল্পটা আমার পছন্দ হতে হবে। ডিরেক্টর, নিজের ক্যারেক্টার নিয়ে স্যাটিসফেকশন থাকতে হবে। আমাকে মাথায় রাখতে হয়, কাজটি ইন্ডাস্ট্রিতে কতটা পজিটিভ ভূমিকা রাখবে। বিষয়গুলো আমি এভাবে চিন্তা করি। এটা আমার আলাদা বৈশিষ্ট্য। আমি বিশাল কিছু করে ফেলেছি তা কিন্তু নয়। এটা যে কেউ পারবেন, যদি তিনি নিজের স্বকীয়তা তৈরি করতে পারেন। আমি মনে করি, বাংলাদেশে ভালো অভিনেতা অনেকে আছেন। আমার বেশিরভাগ সহকর্মী এতকিছু চিন্তা করেন না। তাঁদের মধে৵ অনেকেই যা পাচ্ছেন, তা–ই করছেন।
পূজায় বাড়ি যাবেন?
যাব, মা–বাবা আছেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাব। তাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর দুই–আড়াই মাস ঢাকায় ছিলেন। তাঁদের সুস্থ করে বাড়িতে দিয়ে এসেছি। আগামী সপ্তাহে আবার তাঁদের কাছে যাব। মা–বাবার সঙ্গে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় কাটাব। কাজের ব্যস্ততায় সারা বছর বাড়িতে খুব বেশি যাওয়া হয় না। মা–বাবা অল্প কিছুদিনের জন্য মাঝেমধ্যে আসেন, বেশিদিন থাকতে চান না। কিছুদিন থাকলেই বাড়ির জন্য উতলা হয়ে ওঠেন। আমরা আট ভাইবোন। সবাই স্বামী-স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে পূজার সময়ে বাড়িতে একত্র হতে চেষ্টা করি।
উৎসবের সময়ে বাড়িতে গেলে কীভাবে সময় কাটান?
ছোটবেলার মতো ট্রাডিশনাল সেই উৎসব এখন নেই। এখন বাড়িতে থাকি। আশপাশ আর দূর থেকে অনেক লোক আসেন। তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে হয়। সারা দিন তাঁদের সঙ্গে কথা বলি, আড্ডা দিই। তাঁরা অটোগ্রাফ নেন, ছবি তোলেন। বিকেলের দিকে একটু বের হই। যেদিন বিসর্জন, সেদিন হয়তো একটু গেলাম। আমাদের গ্রাম পদ্মা নদীর একেবারে কাছে। সেখানে এবার চারটি মণ্ডপে পূজা হবে। চার প্রতিমাকে একসঙ্গে নদীর পাড়ে নেওয়া হবে, দুই–তিন ঘণ্টা সেখানে আরতি হবে, তারপর বিসর্জন। সেখানে হয়তো যাব।
আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছা আছে?
আমি লেখক নই। আমি যে কাজটা করি, সেটি অভিনয়। এটা অনেক শিল্পের সমন্বিত রূপ। অভিনয় করতে গেলে সব বিষয়ে ধারণা থাকতে হয়। অভিনয় করতে গেলে গান, সুর-তাল-লয়, আবৃত্তি, রিদম সেন্স থাকতে হয়। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, একটি গান গাইলেই অনেকে মনে করেন, এ তো কণ্ঠশিল্পী! কিন্তু এটা অভিনয়ের জন্য আমাকে শিখতে হয়েছে। যাঁরা এসব না জেনে অভিনয়ে আসেন, তাঁদের বিষয় আলাদা। দু–চার লাইন লেখার ক্ষমতা থাকতে হয় বটে, এর মানে কিন্তু আমি লেখক নই। আমি লেখক হওয়ার যোগ্যতা রাখি না। গায়ক হওয়ারও যোগ্যতা রাখি না। লেখা, গান এগুলো আলাদা শিল্প। এসবের জন্য আলাদা সাধনা করতে হয়। আমি চারুকলায় পড়াশোনা করেছি। যেহেতু অভিনয় করছি, তাই আঁকাআঁকি বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ, আঁকতে গেলে আর অভিনয় হবে না। সুতরাং গাইব বা লিখব, সেটি আমার উদ্দেশ্য নয়। দুই লাইন ফেসবুকে স্ট্যাটাস লেখা আর পেশাদার লেখক হিসেবে লেখা এক কথা নয়। যদি কখনো লেখার দক্ষতা তৈরি করতে হয়, সে জন্য আমাকে সাধনা করতে হবে। সস্তা উপায়ে নিজের নাম বিক্রি করতে দশ লাইন লিখে দিলাম, বইমেলায় বই বের হয়ে গেল, এটা আমি পারব না। অনেক প্রকাশক বলেছিলেন, লেখেন, বই করি। আমি বলেছি, সরি ভাই, এটা আমার কাজ নয়। চেহারা বিক্রির জন্য অনেকে গান গাওয়াতে চাইবে, কিন্তু এটা আমার কাজ নয়। অভিনয় আমার পেশা, সেটিই করতে চেষ্টা করি। বাকিটা শখ করে করি। সেটিকে পেশা হিসেবে করার কোনো ইচ্ছা নেই।
নাট্যোৎসব হচ্ছে শিল্পকলায়। যাবেন?
ইচ্ছা তো করে, দেখি। যদি সময় করে উঠতে পারি, যাব। কাজের চাপ বাড়ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের বিনোদন মাধ্যম এক সংকটময় পরিস্তিতির মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে। ভাল এবং গুনগত মানের নাটক এবং সিনেমার অভাবে এমন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি দেশের সিনেমা হল গুলোও ক্রমশই ভব্ধ হয়ে যাচ্ছে।তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার বিনোদন জগতের এই সংকটময় পরিস্তিতি মোকাবিলায়ও আপ্রান ভাবে কাজ করছে। এবং এই খাত দর্শক ন্দনিত গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রদান করছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।