প্রেমের টান এমন রকটি টান যে টানে মানুষ তার ঘর-সংসার, স্বামী-সন্তান ফেলে চলে যায় তার ভালোবাসার মানুষের কাছে আর এমনটা ঘটছে প্রত্যহ। প্রেমের টানকে বাঁধা দিতে পারেনা কেউ। সেই প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ভারতীয় এক তরুণী।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট হয়ে দেশে ফিরেছেন প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা এক ভারতীয় তরুণী। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে দর্শনা-জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। তরুণী সাথী সরকারের বাড়ি ভারতের নদীয়া জেলার রাধাকান্তপুরে।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাইম জানান, দুই বছর আগে অনলাইনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে গিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমার গাড়া এলাকার বাসিন্দা ওমর আলীর সঙ্গে সাথীর পরিচয় হয়। পরে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে কুষ্টিয়ায় ওমর আলীর বাড়িতে চলে আসেন সাথী। পরদিন কুষ্টিয়া আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করেন সাথী খাতুন। সেখানে দুজনের বিয়ে হয়।
এরপর চলতি বছরের ২১ মার্চ রাতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সাথীকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। পরদিন সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বয়স কম হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া সামাজিক ও প্রতিবন্ধী ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। সেখানে তাকে 11 মাস রাখা হয়েছিল। আজ তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনারের ডেপুটি কনসাল দেবব্রতী চক্রবর্তী, বিজিবি দর্শনা আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, কুষ্টিয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির উদ্দিন, বিএসএফ গেদে কোম্পানি কমান্ডার এসএ নগেন্দ্র হালদার, গেদে ইমিগ্রেশন জেলা ইনচার্জ নায়েব সুবেদার ও জেলা প্রশাসক মো. . উপস্থিত ছিল. কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাপিন মুখার্জি, গেদে কাস্টমস সুপার অজয় নারায়ণ রায়, কাস্টমস ইন্সপেক্টর প্রশান্ত কুমার ঘোষসহ সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, প্রেম মানুষকে অন্ধ করে দেয় পুরোপুরিভাবে। আর সেই প্রেমের ডাকে সারা দিয়ে নিজ দেশ ও বাড়ি ছেড়েছিলেন এই তরুণী। আশা ছিল প্রেমিকাকে নিয়ে ঘর বাঁধবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বেশিদিন স্থায়ী হলো না। তাকে ফিরে যেতে হলো তার নিজের দেশে নিজের বাড়িতে।