নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দা”/ঙ্গা জোরালো করার জন্য উ”স্কানি দেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে। তাছাড়া তার সাথে অভিযুক্ত করা হয় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে। অভিযোগের পর তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য আবেদন করা হয়। এবার মাননীয় আদালত তাদের জামিন মন্জুর করলেন।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আশেক ইমাম তা মঞ্জুর করেন। আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও কালাম খান।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯শে জুলাই রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী প্রয়াত হলে ন্যায্য বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দিনভর নজিরবিহীন বিক্ষোভ করে।
গত ৬ আগস্ট শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ‘রাজনীতিকরণ’ ও ‘দা”ঙ্গায় উ”সকানি’ দেওয়ার অভিযোগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।
২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া।
এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ১২ জুন বিএনপির সিনিয়র তিন নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম। মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। কিন্তু মামলার অপর আসামি রুহুল কবির রিজভী আজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ না করে জামিনের আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল আলম ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তিনি দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ভিন্ন দিকে পরিচালিত করতে শিক্ষার্থীদের দা”ঙ্গার বিষয়টিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাছাড়া নানাভাবে তাদেরকে উ/’স্কানি মূলক বার্তা দেওয়ার মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এমনি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।