বিগত বেশ কিছুদিন ধরে সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে সানজানার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা। সানজানা প্রয়নের আগে তার বাবাকে দোষরপ করে একটি চিরকুট ছেড়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন সানজানার বাবা শাহীন আলম। আজ সেই মালার প্রথমবার মত আদালতে উঠেছে। তবে আদালতের নেওয়া সিন্ধান্ত শাহীন আলমের জন্য খুব একটা শুভোনীয় ছিলো না।
রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সানজানা মোসাদ্দিকা (২১) এর ১২ তলা ভবনের ছাদ থেকে লা/ ফ দিয়ে আ/ ‘ত্মহত্যার মামলায় তার বাবা শাহীন আলমের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) শাহিন আলমকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শুভ্র চক্রবর্তীর আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার (৩১ আগস্ট) ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে সঞ্জনার বাবাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত শনিবার (২৭ আগস্ট) দক্ষিণখান মোল্লারটেক এলাকায় একটি ১২ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেন সানজানা মোসাদ্দেক। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সঞ্জনার মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পাঁচ বছর আগে সঞ্জনার বাবা শাহীন আলম তাদের না জানিয়ে পুনরায় বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর দুই মাস আগে সঞ্জনার মা তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর শাহীন সানজানার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি ও আনুষঙ্গিক খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন।
এদিকে, আত্মহত্যার আগে বাবাকে দোষারোপ করে একটি চিরকুট লিখেছিলেন সঞ্জনা। নোটটি উদ্ধার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
চিরকুটে লেখা ছিল, আমার মৃত্যুর জন্য বাবা দায়ী। কেউ বাড়িতে পশুদের সাথে থাকতে পারে, কিন্তু অ-মানুষের সাথে নয়। একজন অত্যাচারী ধর্ষক, যে তার দাসীকেও রেহাই দেয়নি। আমি তার করুণ পরিণতির শুরু।
সানজানার এই ঘটনায় তার কলেজের সহপাঠিরা বিক্ষপ শুরু করেন। তারা সত্যি কারের আসামীর দৃষ্টান্ত শাশ্তির দাবি জানায়। এছাড় তার সহপাঠিরা দাবি করছে সানজানা আত্মহনন করেনি তাকে নিথর করা হয়েছে।