ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রীতিমতো দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। এছাড়া এ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, অন্য কোনো সরকারের আমলে এমন হয়নি তা এখন স্পষ্ট। তবে এরপরও কিছু মানুষ সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করতে ভোলে না। আর তাই এবার সেই সকল মানুষদের লক্ষ্য করে শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, যারা শেখ হাসিনার উন্নয়নকে চোখে দেখতে পায় না তাদের চোখে ছানি পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা এখন তত্বাবধায়ক সরকার চায়। এক সময়ে খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝি না, মানি না।’’ পরে বাধ্য হয়েছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে। মাত্র ১২ দিনের পার্লামেন্টে আইন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাশ করেছেন। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকাররে ওপর ভর করেই সেদিন বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। তখন আমরা দেখলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার সঠিক নয়।’
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘আগামীতে জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে আসুন। আপনারা জিতলে শেখ হাসিনা আপনাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিবে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান শেখ ফজলুল হক বাবুল, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মোস্তফা, সাহাবুদ্দিন সাহা প্রমুখ।
২০০১ সালে জামাতের ওপর ভর করে বিএনপি ক্ষমতায় এসে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন, মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছে দাবি করে শাজাহান খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনি বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদে জীবন যাপন করেতে পেরেছে। নিরাপদে তারা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পেরেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে এই বাংলাদেশে সাম্পদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে।’
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ ও মানুষের যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা রীতিমতো উপলব্ধি করতে পারছে এ দেশের মানুষ। দেশের সকল মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধার আওতায় আনার পাশাপাশি গৃহহীন মানুষের থাকার ব্যবস্থাও করছে এ সরকার। এছাড়া জনগণের ন্যায্য অধিকারের জন্যেও কাজ করে যাচ্ছে এ সরকার।