ধনী হওয়ার ইচ্ছা সবার মধ্যে থেকে। তবে অল্প সময়ে ধনী হতে গিয়ে অনেকেই প্রান হারিয়েছেন। এমই একটি বাস্তব ঘটনার শিকার হয়েছেন নায়িকা সিমি। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উন্নত ও সফল ব্যাবসার প্রলভোন দেখিয়ে এই নায়িকার সাথে অনা কাঙ্খিত কান্ড ঘটনায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তবে অনেক প্রশ্ন থাকতে পরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা সিমির কি হয়? তার সাথে সিমির পরিচয় কিভাবে হলো? তারা কি কোন সম্পর্কে জড়িত ছিলো? ইত্যাদি। এসকল প্রশ্নের জবাব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বের করা হয়েছে যা আজকের এই আর্টিকেলে প্রকাশ করা হবে।
ঘটনার শুরুতে আমরা এক সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানতে বড় ব্যবসায়ী হতে গিয়ে অভিনেত্রী ও প্রযোজক সিমি ইসলাম কালীর এমন খারাপ অবস্থা। তার উপর স/ন্ত্রাসী হামলা হয়। তাকে হ/ত্যার উদ্দেশ্য ছিল। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেয়েছিল সে। কিন্তু প্যারালাইসিস মেনে নিতে হয়েছে। কারণ হামলাকারীরা তার দুই পায়ের রগ কে/ টে দিয়েছে। এ হামলার পেছনে এক ব্যাংক কর্মকর্তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিমি। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা কে?
খোঁজ নিয়ে এক সংবাদ মাধ্যম জানতে পারে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম জীবন কৃষ্ণ রায়। তিনি জনতা ব্যাংকের আরামবাগ শাখার এজিএম হিসেবে কর্মরত।
সিমির সঙ্গে কথা বলে ঢাকাটাইমস জেনেছে, এই জীবন কৃষ্ণা রায়ের পালক কন্যা। যে প্রেমের সম্পর্কে ছেলের সাথে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। 2014 সালে শিল্পকলা একাডেমিতে সিমিকে দেখার পর, জীবন কৃষ্ণ রায় বলেছিলেন যে তিনি তার দত্তক কন্যার মতো দেখতে ছিলেন। বলল, ‘তুমি দেখতে আমার মেয়ের মতো।’
যেভাবে প্রতারণার ফাঁ/ দে পা দিয়েছে সিমি
জনতা ব্যাঙ্কের আরামবাগ শাখায় নাইকা সিমির অ্যাকাউন্ট ছিল। একদিন তিনি সেখানে টাকা জমা দিতে গেলে একজন সুপরিচিত ব্যাঙ্ক অফিসার জীবন কৃষ্ণ রায় তাকে ব্যবসার প্রস্তাব দেন। দেখতে মেয়ের মতো হওয়ায় সিমি জীবন কৃষ্ণের মাধ্যমে ফরিদ নামের এক পরিচিতকে ধাপে ধাপে ৮০ লাখ টাকা দেন।
তবে ঠিক কী ব্যবসার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে তা জানতেন না নায়িকা।
সিমি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে আর্থিক সংকটের কারণে তিনি জীবন কৃষ্ণ রায়ের কাছ থেকে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত চান। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তা সিমির সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। নায়িকা বলেন, “তিনি (জীবন কৃষ্ণ) আমাকে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন।” একদিন সে আমাকে তার অফিসে ডেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।
সিমি কিভাবে মৃত্যু থেকে বেঁচে যায়
অভিনেত্রী জানান, কোরবানির ঈদে জীবন কৃষ্ণ রায় টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নরসিংদীতে ডেকে নেন। সিমির শ্বশুরবাড়ি আছে। বলা হয়, শ্বশুর বাড়িতে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। ২৮ জুলাই সিমি সেখানে যান। কিন্তু ঘটনার কোনো চিহ্ন না দেখে একদিন পর ২৯ জুলাই রাতে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
সিমি জানান, তিনি তার ভাইয়ের মোটরসাইকেলে বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। রাত তখন ৯টা। নরসিংদীর শিবপুর ও রায়পুরা থানার মোড় খৈনপুর কুটিরবাজার ব্রিজের কাছে পৌঁছালে প্রস্রাব করার জন্য বাইক থামিয়ে দেন নায়িকা। এর পরই পাশ থেকে অ্যামবুশ করা হয় সিমিকে। তাকে নির্মমভাবে মারধরের পর আততায়ীরা তার পায়ের র/ গ কেটে দেয়।
সিমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে মৃত ভেবে খৈনপুর গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল সিমিকে টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে কোথাও ফেলে দেওয়া। কিন্তু ওই মুহূর্তে ওই বাড়ির এক মহিলা সেখানে এসে, প্রাণে বেঁচে যান সিমি। সেখান থেকে আততায়ীরা পালিয়ে যায়, সিমিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে মগবাজারের একটি বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান সিমি।
ঘটনার পর হামলাকারী ও ব্যাংকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে আহত লাশ নিয়ে নরসিংদীর রায়পুরা থানায় যান নায়িকা। কিন্তু ব্রিজের ওপারে শিবপুর মডেল থানা হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা না নিয়ে ওই থানায় (শিবপুর) মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে শিবপুর থানায় গেলে সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন সিমি।
তবে রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকারের দাবি, ওই মহিলা থানায় আসেননি। বরং তাকে থানায় ফোন করে মামলা করার অনুরোধ করা হয়। তবে কেন তিনি সাড়া দেননি তা স্পষ্ট নয়। তিনি অভিযোগ করলে তার মামলা গ্রহণ করা হবে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ঘটনাটি আমার থানা এলাকার নয়। এরপর লোকজনের কথা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের খোঁজে থানা থেকে একজন কর্মকর্তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জায়গাটা রায়পুরা বলে মহিলা আর আসেননি।
এদিকে সিমির ওপর হামলা ও তার কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে ব্যাংক কর্মকর্তা জীবন কৃষ্ণ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকাটাইমস। কিন্তু একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ওপর হামলার সঙ্গে শুধু ব্যাংক কর্মকর্তাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজনও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন সিমি।
লোকো মুখে শুনা যায় সিমির সাথে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার অবৈধ সর্ম্পক ছিলো। একপর্যয়ে তাদের সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর রূপ দিতে এই নায়িকা চাপ দিলে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা এমন ঘটনার সৃষ্টি করে। তবে এই নায়িকা সিমি ঘটনার পর নিজের কলংঙ্ক ঢেকে রাখতে এ সকল বিষয় সবার কাছে থেকে আড়াল করেছে। তবে এ বিষয়ের কোন সত্যতা প্রকাশ পায়নি কোন গন মাধ্যমে।