এবার এক এক করে চিহ্নিত করার কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জানা গেল কাদের চিহ্নিত করতে বললেন

আসাদুজ্জামান খান কামাল হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব নেবার পরে দেশ থেকে অপরাধের পরিমাণ একেবারেই কমে গেছে। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশের জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার দাবি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার জোরালো দাবি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘প্রয়াত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসে। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। যিনি সকলের ইচ্ছাকে লালন করতেন, তিনি কেবল তা-ই ভাবতে পারেন যা সবাই চায়। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কারণেই এই দেশ মাত্র ৯ মাসে এত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে। দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে প্রাণনাশ করবে তা আমরা ভাবতে পারিনি। আমি বিদেশে গেলে এখনো প্রশ্নের সম্মুখীন হই, আপনি কি আপনার জাতির পিতাকে প্রাণনাশ করেছেন? বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান এই প্রাণনাশকাণ্ড ঘটিয়েছেন, যাতে পরবর্তীতে তার বিচার না হয় সেজন্য কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে তিনি এর ব্যবস্থা করেন। এই প্রাণনাশকাণ্ডের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশ করতে চেয়েছিল বিএনপি-জামায়াত।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক আইজিপি ও বঙ্গবন্ধু ললিতকলা একাডেমির চেয়ারম্যান একেএম শহীদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এএমএস আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, রংধনু চেয়ারম্যান ড. গ্রুপ রফিকুল ইসলাম ইত্যাদি।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর তৎপরতার জন্য দেশ থেকে স/ন্ত্রাস ও সব ধরণের অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। তার এই অব দানের জন্য বাংলার মাআনুষ কৃতজ্ঞ থাকবে চিরকাল। বাংলার মানুষ যাতে শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারে সেইদিকে বিশেষ খেয়াল রেখেই মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।