Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / International / নেই কোনও দাবিদার, দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে পড়ে আছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা

নেই কোনও দাবিদার, দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে পড়ে আছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন ব্যংকগুলোতে পড়ে আছে ৪৮ হাজার কোটিরও বেশি টাকা। সম্প্রতি এতথ্য প্রকাশ পেয়েছে এবঞ এটি প্রকাশ্যে আসার পরেই মানুষ হতভম্ব হয়েছে। মুলত আরবিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও গ্রাহক ১০ বছর নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন না করেন, তা হলে সেই অ্যাকাউন্টে জমা টাকাকে বেওয়ারিশ ঘোষণা করা হয়।

যে সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনও রকম লেনদেন হয় না, সেই অ্যাকাউন্ট ‘ডরম্যান্ট’ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট এবং রেকারিং ডিপোজিটের বেওয়ারিশ টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারেনেস ফান্ড (ডিইএএফ বা ডেফ)-এ জমা পড়ে।

আরবিআইয়ের এক আধিকারিকের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে রাজ্যগুলি থেকে সবচেয়ে বেশি বেওয়ারিশ টাকা জমা পড়েছে সেগুলি হল— তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, বিহার, তেলঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ।

আরবিআই জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও বেওয়ারিশ টাকার পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

আরবিআই জানিয়েছে, এমন অনেক গ্রাহক আছেন যাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পরেও দীর্ঘ সময় ধরে সেই অ্যাকাউন্টে লেনদেন করেন না। এমনকি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কোনও আগ্রহও দেখান না, সচেতনতা প্রচার চালানো সত্ত্বেও এই ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

প্রতি বছর এই ধরনের অ্যাকাউন্টে জমা টাকা আরবিআইয়ের ‘ডেফ’ অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে।

কেন বাড়ছে বেওয়ারিশ টাকার পরিমাণ? আরবিআই জানিয়েছে, এর অনেকগুলি কারণ রয়েছে। যেমন, কোনও অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু হওয়া, পরিবারের লোকেদের ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে অবহিত না হওয়া, ভুল ঠিকানা বা অ্যাকাউন্টে কোনও নমিনি থাকা ইত্যাদি।

যদি কোনও গ্রাহকের দাবিহীন টাকা আরবিআইয়ের ‘ডেফ’ অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়, সেই টাকা ফেরত পেতে হলে যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, গ্রাহককে সেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

দাবিহীন টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা যায় ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে।

সেই টাকা ফেরত পেতে হলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের প্যান কার্ড, জন্মতারিখ, নাম এবং ঠিকানা দিয়ে ওই ওয়েবসাইট থেকেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দাবিহীন টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, ব্যংকের কিছু নিয়মনীতি আছে যেগুলো বস্তুতভাবে যারা অর্থ আদান প্রদান করেন তাদের জন্য প্রযেজ্য, ১০ বছরের বেশী সময় ধরে কোন একাউন্ট পড়ে থাকা বা সেই একাউন্টে অর্থ লেনদেন না করলে ঐ একাউন্টের যা অর্থ থাকে সেই অর্থের কোন দাবিদার থাকে না অর্থাৎ সেটা বেওয়ারিশ বলে গন্য হয়ে থাকে।

About Rasel Khalifa

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *