Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সময় বেঁধে দিয়ে পদত্যাগ করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

সময় বেঁধে দিয়ে পদত্যাগ করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন একটি বেফাঁস মন্তব্য করে দলের ভেতরে এবং বাইরে দুই জায়গাতেই দারুণভাবে সমালোচিত হচ্ছেন। যার কারণে সরকারবিরোধী দলগুলোর নেতারা এই বিষয়টিকে পুরো দলের নেতৃত্বে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখতে আমি ভারতকে অনুরোধ করেছি।’ এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার পর তিনি বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছেন।

বিরোধীরা তার বক্তব্যকে ‘দেশদ্রোহী’ অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি করেছে। আর নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতারা বেলছেন, মোমেন দলের কেউ না। এর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে।

রোববার (২১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য আপনি ভারত সরকারের কাছে যা অনুরোধ করেছেন তা আপনি করতে পারবেন না। কারণ সংবিধান অনুযায়ী জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি অসাংবিধানিক বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদ থেকে অযোগ্য।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে যাবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’ মন্ত্রীর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দল বা সরকারের নয়। কাউকে ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করতে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, আবদুল মোমেন আওয়ামী লীগের সদস্য নন, তার বক্তব্যের দায় দল নেবে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্যের কারণে আ.লীগও অতিমাত্রায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে, এমন ধরনের মন্তব্য করেন নেতারা। সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন অনেকে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্য সরকারের জন্য উত্তম কোনো কিছু বয়ে আনতে পারে না বলেও তারা জানান।

 

About bisso Jit

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

One comment

  1. দুদিন আগের বেহেস্ত টা কখন যে দোযখ হয়ে গেল বুঝতেই পারলেন না মোমেন সাহেব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *