গত কয়েক বছর আগে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাইপাস এলাকার রাজু আহমেদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জান্নাতুল ফেরদৌস হাসির। খুব আশা নিয়ে বাবার ছেড়ে স্বামীর বাড়িতে পা রাখার পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে প্রায় স্বামীর নি’র্যা’ত’ন সহ্য করতে হতো হাসিকে। আর এরই মধ্যে এলো হাসির মৃত্যুর খবর। স্বজনদের দাবি তাকে ফাঁস দিয়ে হ//ত্যা/ করেছে স্বামী রাজু।
শনিবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পল্লবী থানার পলাশ নগরের বেলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তারা ওই রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন বাড়ির লোকজন এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার দুপুরে নিহত গৃহবধূর বাবার বাড়ি ঝালকাঠিতে নিয়ে আসেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় জেলা পরিষদের সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
হাসির বাবা বাবুল তালুকদার বলেন, যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে প্রায়ই মারধর করা হতো। মারধরের সময় তার মাথায় বারবার আঘাত করা হয়। এটা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। যদিও তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রমাণ করার জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখিয়েছিলেন, তিনি তার প্রেসক্রিপশন বাড়িতে রেখেছিলেন কিন্তু কোনো ওষুধ সেবন করাতেন না। আমি আমার মেয়ে হ//ত্যার বিচার চাই।
বোনের শোকে কাতর মিল্লাত হোসেন বলেন, আমার বোন নরম ও শান্ত ছিল। যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করত। তারা আমাদের কাছে কান্নাকাটি করে অভিযোগ করত কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে আমরা অসহায়। যৌতুকের জন্য তারা আমার বোনকে হত্যা করেছে। সেখানে আমার আড়াই বছরের ছোট ভাগিনা আছে। যেন তাকে কোথাও লুকিয়ে রেখেছে, আমাদের কথাও বলতে দেয়নি। ঢাকার ঘটনায় সেখানে গিয়ে ওদের অর্থ ও প্রভাবের কারণে মামলা দেয়া তো দূরের কথা, আমরা কোন পাত্তাই পাইনি। আমরা আমাদের বোনের /খু//নি/দের নামে ঝালকাঠি থানায় মামলা গ্রহন, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যত নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ঐ গৃহবধূর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের স্বজনরা থানায় আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।