বাংলাদেশের এক তুমুল জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী নোবেল। তিনি শুধু বাংলাদেশেই নয় ভারতীয় বেশ জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তার শুরুটাই বাংলাদেশের বাইরে অর্থাৎ ভারতের এক প্রতিযোগিতা মূলক সংগীত অনুষ্ঠান থেকে। তবে এবার সংগীত বিষয়ক বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে আইনি নোটিশ পাঠানো হলো তাকে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সঙ্গীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেলকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ আগস্ট) আইনজীবী মিঠুন বিশ্বাস এ আইনি নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধানে সংরক্ষিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমার সম্মুখ’ গানের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের অপপ্রচার ও প্রচারণা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, লেখক, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মানহানিকর ও বিদ্বেষমূলক অপবাদ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, মানহানিকর এবং ঘৃণ্য আপত্তিকর মন্তব্য। একজন নাগরিকের হৃদয়ে আঘাত করা দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
নোবেল তার ভেরিফায়েড ফে’সবুক পেজ ‘নোবেল ম্যান’ থেকে ১০ এবং ১১ আগস্ট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ২টি ভুয়া, ঘৃণ্য, ভিত্তিহীন মন্তব্য পোস্ট করেছিলেন। এই পোস্টগুলি সর্বস্তরের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এ ধরনের ঘটনা দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস বলেছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কটূক্তির কথা স্বীকার করে ফেসবুক পোস্ট ৭ দিনের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে নোবেলকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে।
বিগত কিছুদিন আগে বেসুরা কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত কভার করে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয় হিরো আলমকে। তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা ধরনের সমালোচনা। সেই সমালোচনায় অংশ নেই নোবেল। গান গাওয়ার অধিকার সবার আছে আমার কণ্ঠ ভালো নয় তার জন্য আমি গান গাইতে পারব না এমন আইন কোথায় লেখা আছে? হিরো আলমের পক্ষে এমনই মন্তব্য করেন নোবেল।