এর আগেও অনেক তরুণ-তরুণী প্রেমের টানে নিজের দেশ ছেড়ে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে । বিগত দু-এক বছর ধরে এমন ঘটনা অধিক পরিমাণে গণমাধ্যম দ্বারা প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার প্রেমের টানে দিনাজপুর শহরের রুম্পা নামের এক যুবতীর কাছে সুদূর অস্ট্রিয়ান থেকে ছুটে এসেছে আদ্রিয়ান নামক এক যুবক। যে ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় আসে।
দিনাজপুরের তরুণী নুসরাত জাহান রুম্পার সঙ্গে প্রেম করছেন অস্ট্রিয়ান প্রকৌশলী আদ্রিয়ান বারিসো নীরা। শুধু তাই নয়, প্রেমের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের দিনাজপুরে রুম্পাকে বিয়েও করেন তিনি। প্রকৌশলী আদ্রিয়ান বারিসো নীরা ৭ আগস্ট বাংলাদেশে আসেন। পরের দিন ৮ আগস্ট তিনি ঢাকা থেকে দিনাজপুর আসেন। আর গত মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তখন পর্যন্ত খবরটি গোপন রাখা হলেও গতকাল তা প্রকাশ্যে আসে। নবদম্পতির এক ঝলক দেখতে সবাই ছুটে যায় রুম্পার বাড়িতে। রুম্পার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর শহরতলীর মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে নুসরাত জাহান রুম্পার প্রথম দেখা হয় ২০১৯ সালে আমেরিকায় আদ্রিয়ানের সাথে। সেখানে দুজনেই নিজ নিজ আত্মীয়ের বাড়িতে যান। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নিয়মিত কথা হয়।
তারপর দুজন দুজনকে ভালোবাসতে শুরু করে। দুই পরিবারের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ২০২০ সালে তারা বিয়ে করতে রাজি হন। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ৯ আগস্ট তা সম্ভব হয়েছে। বিয়ের পর রুম্পা বলেন, আদ্রিয়ান খুব ভালো মানুষ। তিনি একজন মুসলিম এবং পেশায় একজন প্রকৌশলী। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন সারাজীবন এভাবে একসাথে থাকতে পারি। তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যে স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রিয়া যাব। আমি তার সাথে সেখানে থাকব। এ বিষয়ে আদ্রিয়ান বারিসো নীরা বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে রুম্পার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ। আমি শীঘ্রই আমার স্ত্রীকে আমার দেশে নিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও মানুষ আমার খুব ভালো লাগে।
দীর্ঘদিনের এই প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্ককে স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে রূপান্তরিত করে দুজনই বেশ আনন্দিত। রুম্পার পরিবারেই বিয়েতে কোন প্রকার আপত্তি ছাড়াই উভয়ের বিবাহ কার্য সম্পন্ন করেন। তবে বাংলাদেশে আসা ওই অস্ট্রেলিয়ান প্রকৌশলী সম্পর্কে তেমন বিশেষ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আদ্রিয়ান পরিবার বাংলাদেশি তরুণীকে মেনে নেবেন কিনা সে বিষয়েও কোনো প্রকার স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি । এছাড়া বিবাহর পরে রুম্পাকে নিয়ে অস্ট্রিয়ান ফিরে যাবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও অজানা।