নিরাপদে অর্থ গচ্ছিত রাখার সবথেকে উত্তম স্থান হলো ব্যাংক। ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত রেখে মানুষ অনেক নিশ্চিন্তে থাকে। অনেক মানুষ আছে যারা তাদের সারা জীবনে আয় করা শেষ সম্বলটুকু ব্যাংকে গচ্ছিত রেখে সচ্ছলভাবে জীবন-যাপন করে থাকে। সম্প্রতি জানা গেছে গাইবান্ধা সোনালী ব্যাংক শাখায় ৩ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ভাউচারে জমা থাকা ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা চলে গেছে অন্য অ্যাকাউন্টে। সোনালী ব্যাংক বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। এ ঘটনা জানাজানি হলে গাইবান্ধা শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৬ জুলাই সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধার প্রধান শাখায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার ভাউচার জমা দেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার এক কর্মকর্তা। জমাকৃত ভাউচারের টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট নম্বরে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা জমা দেওয়া হয়েছে আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এরপর সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা উদ্ধারে কোনো বিভাগীয় বা আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। দীর্ঘ এক মাস পর বিষয়টি জানাজানি হলে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পিবিআইকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানায়। পিবিআই পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ বলেন, সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখায় বিষয়টি মৌখিকভাবে আমাদের জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ব্যবস্থাপকের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেও তাদের অফিসে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এছাড়া অফিসের অন্য কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে বিষের বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান বলেন, একজনের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিষয়টি তারা জানেন না।
প্রসঙ্গত, ব্যাংকে অর্থ জমা রেখেও মানুষ আজ ভুগছে দুশ্চিন্তায়। ব্যাংকের অর্থও এখন জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বিষয়টি আসলেই খুব দুঃখজনক। ব্যাংকেও যদি মানুষ তাদের অর্থের নিরাপত্তা না পায় তাহলে আর কোথাও পাবার সম্ভাবনা নেই। যারা অর্থ আত্মসাৎ করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া বলে মনে করছেন ভুক্তভুগীরা।