আবেদন করলে আইজিপি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবে কি না জানিয়ে দিল মার্কিন দূতাবাস

এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না আইজিপির মার্কিন মুল্লুক সফর নিয়ে। বেশ ধোয়াসা সৃষ্টি হয়েছে তার যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে। আর এ নিয়ে এখন উঠছে নানা ধরনের সব প্রশ্ন। এ দিকে সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটা না হওয়া পর্যন্ত বলা মুশকিল’। তবে তিনি আশা করেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন “যদি কোনো অসুবিধা না হয়”। আর কোনো সমস্যা হলে তারা বিষয়টি আগে থেকেই জানার চেষ্টা করবেন।

৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বেনজীর আহমেদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে অংশ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গঠন করেছে সরকার।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান আইজিপি যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারবেন কি না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তর চুক্তির আওতায় জাতিসংঘে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আইজিপি বেনজীর আহমেদের ওপর প্রযোজ্য হবে কি না, তাও জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “এমন একটা ব্যাপার আছে। দেখা যাক, কোনো সমস্যা না হলে আশা করি তিনি যোগ দিতে পারবেন। আর কোনো সমস্যা হলে আগে থেকেই জানার চেষ্টা করব।’

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জাতিসংঘের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিশেষ কোনো চুক্তি আছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এমন ভদ্রলোকের চুক্তি বা কনভেনশন আছে। আমরা অতীতেও কিছু ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখেছি। এটা না হওয়া পর্যন্ত বলা কঠিন। ‘

আইজিপির নিউইয়র্ক সফরে নিষেধাজ্ঞা কোনো বাধা হবে না বলে সরকারের সবুজ সংকেত আছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো যোগাযোগ করিনি। জিও (সরকারি আদেশ) হওয়ার পর থেকেই তার (আইজিপি) যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ‘

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইন অনুযায়ী ভিসার আবেদন নিষ্পত্তি করবে:

আইজিপি বেনজীর আহমেদ জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করলে যুক্তরাষ্ট্র আইন অনুযায়ী তাকে খালাস দেবে। এমন ইঙ্গিত দিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।

মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রিডেনর গত শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট এবং অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের আলোকে সমস্ত ভিসার আবেদন আলাদাভাবে প্রক্রিয়া করা হয়। মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসার রেকর্ড গোপনীয়। আমরা পৃথক ভিসার আবেদন নিয়ে আলোচনা করি না।

প্রসঙ্গত, গেল বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের পুলিশের আইজিপি সহ বেশ কয়েকজনকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই থেকেই আইজিপি আর যেতে পারেননি মার্কিন মুলুক সফরে। তবে এবার বিষয়টি যেন হয়ে দাড়িয়েছে আরো জটিল। যেহেতু জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে তাদেরকে যোগ দিতে হবে তাই এবার যাওয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে।