Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে অযাচিত কথা বললেন রুহুল কবির রিজভী

অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে অযাচিত কথা বললেন রুহুল কবির রিজভী

বর্তমান সময়ে সরকারের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত একটি বড় ধরনের সংকট সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত। যার কারণে সরকারের ইমেজ নষ্ট হতে শুরু করেছে। তবে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ায় সরকার বাধ্য হয়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। সেই সাথে লোডশেডিং এর পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে জ্বালানি তেলের পেছনে খর কমাতে। এবারে বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেছেন, এই নিশিরাতের সরকার দেশকে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। যে দেশে অলিগার্কদের স্বার্থে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারিত কিংবা আইনপ্রণীত হয় সেখানে এটা তো একটি অনিবার্য বিষয়। ঘরে ঘরে এখন শোনা যাচ্ছে স্লোগান- ‘চারিদিকে সমৃদ্ধি, সন্ধ্যা হলেই মোমবাতি’।

বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রীদের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন- আমাদের তহবিল খালি হয়ে যাচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন- আমরা এখন কিছুটা সমস্যায় আছি। অর্থের অভাব রয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন- অবশ্যই দেশের অর্থনীতি চাপে আছে।

রিজভী দাবি করেন, দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও গভর্নরের স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে পরিস্থিতি ভ”য়াবহ। দ্রব্যমূল্য, গ্যাস-বিদ্যুৎ, পরিবহন, লোডশেডিং সমস্যায় জর্জরিত। এতে স্মরণকালের জ্বালানি তেলের দামের সর্বোচ্চ সীমাহীন বৃদ্ধি ‘‘ম’ড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সবক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়েছে। জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে মা”রা/ত্মক বিপর্যয়। দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এমনকি মধ্যবিত্তদেরও বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে নিশিরাতের ভোট ডাকাতিকারী সরকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না।

সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে বলেও দাবি করেন তিনি। ফলে সরকার পক্ষের লোকজন হুম’কি দিয়ে বিক্ষো”ভকারীদের হ’/’ত্যা শুরু করেছে। বাকশাল, নিশিরাতে নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সংবাদপত্র দমন তার উদাহরণ।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রোল মডেলের হাতে এখন ভিক্ষার থালা। শেখ হাসিনা তার ভ”য়াবহ বিপদ বুঝতে পেরেছেন। এ কারণেই নানা আস্ফালনের পরও অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইএমএফ, এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার থলে নিয়ে পাঠাচ্ছেন ঋণের জন্য। জনগণকে এখন প্রতিদিন কৃচ্ছ্রসাধনের বাণী শোনাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে সরকার রিজার্ভ টিকিয়ে রাখতে জ্বালানি তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে যার কারনে এলাকা নির্দিষ্ট করে লোডশেডিংয়ের পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে ভর্তুকী কমাতে। কিন্তু সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে এমন সিদ্ধান্ত অনেকটা সংকটে ফেলেছে দলটিকে।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *