আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনকে ঘিরে সমগ্র দেশ জুড়ে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনকে ঘিরে বেশ তর্ক-বির্তক চলছে। তবে সম্প্রতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন আওয়ামীলীগ দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কারণ নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখানে বিএনপিরও প্রতিনিধি থাকবে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতু পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, কোনো নির্বাচন নির্বাচন খেলা হবে না। দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেন তিনি বলেন, কোনো ধরনের সহিংসতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এ সময় সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কারণ নেই, এখানে বিএনপিরও প্রতিনিধি থাকবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ হয়, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর বলেও দাবি করেন তিনি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত সেতুটির নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ২৫ ভাগ। আগামী ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আমিনবাজার সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। পরে সড়ক মিরপুরের বিআরটিএ’র কার্যালয়ে এক ঝটিকা পরিদর্শন করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি গ্রাহকদের নানা সমস্যার কথা শোনেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সততার সঙ্গে যার যার দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন। বিআরটিএ-তে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ভেহিক্যাল ইনস্পেকশন সেন্টার (ভিআইসি) কেন নষ্ট, সে ব্যাপারে তদন্তের জন্য বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তব্যরত আনসার বাহিনীর সদস্যদের অনিয়ম বন্ধ করারও নির্দেশ দেন তিনি।
সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মূলত দেশের সরকার গঠন থেকে শুরু করে শহর-গ্রামের সকল ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকে নির্বাচন কমিশন। দেশের সংবিধান অনুযায়ী এই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে থাকে।