জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন ডাকাতি করে। এমনকি জীবনে কতবার ডাকাতি করেছেন, তা হয়তো হিসেবেও মিলাতে পারবেন না তিনি। সম্প্রতি ইচ্ছা ছিল আরো একটি বড় ডাকাতি করার। কিন্তু এই ইচ্ছা হয়তো আর কখনই পূরণ হবে না তার। জানা গেছে, এরই মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ডাকাতি করা এই ব্যক্তির নাম হেমন্ত দাস।
সোমবার (৪ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওড়িষ্যা থেকে হেমন্ত দাস নামে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ২০১৮ সালে একবার ও ২০২০ সালে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু বেশিদিন হাজতে কাটাতে হয়নি তাকে। বেরিয়েই আবারও ডাকাতির খাতায় নাম লিখিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে হেমন্ত বলেছে, ‘আমি ১৯৮৬ সাল থেকে ডাকাতি শুরু করেছি। আমি অনেক বড় বড় ডাকাত দলের সঙ্গে কাজ করেছি। সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি আমার ৩৫ বছরের ডাকাত জীবনে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা উপার্জন করেছি। আমি বিলাসবহুল জীবন কাটাতে এই টাকা খরচ করেছি। শুধু আপনাদের অনুরোধ করছি, আমার মতো হবেন না।’
ভুবনেশ্বররের পুলিশ কর্মকর্তা মশঙ্কর দাস জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালে হেমন্ত কলেজে পড়াকালীন একবার একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় পুলিশের খাতায় তার নাম ওঠে। সেই অপরাধে জেলে থাকাকালীন ডাকাতদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে হেমন্তের। ওড়িষ্যা ও বাইরের একাধিক রাজ্যে অসংখ্য ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় সে যুক্ত।
শুধু ভুবনেশ্বরেই ১০০ ডাকাতির সঙ্গে হেমন্ত যুক্ত। সব মিলিয়ে ৫০০ ডাকাতির ঘটনায় তার নাম জড়িয়েছে।
এদিকে তাকে গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করে ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাটি করে যা পেত, তা দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতো হেমন্ত দাস। নামিদামি তারকা হোটেলে ছুটি কাটাতেন তিনি। সম্প্রতি আরো একটি ডাকাতির পরিকল্না ছিল তার। কিন্তু এর আগেই তাকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।