গতকাল সোমবার (৮ আগস্ট) রাতে খাবার খেয়ে স্বামীকে নিয়ে দিব্বি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন শাম্মী আক্তার। কিন্তু কে জানতো যে, এটাই হবে তার শেষ ঘুম। সকালে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত নিকস্থ একটি হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, তিনি আর বেঁচে নেই। তার এ অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে বেশ শোরগোল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাম্মীর স্বামী ও ছেলে সাইমকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার থানাপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শাম্মীর স্বামীর নাম শেখ সিরাজুল সালেকীন। তিনি পেশায় একজন বিউটিশিয়ান ছিলেন।
জানা যায়, শাম্মীর প্রথম স্বামী ফিরোজ আলম মারা যাওয়ার পর দুই সন্তানকে নিয়ে থানাপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই বছর আগে শেখ সিরাজুল সালেকিনকে বিয়ে করেন। সোমবার ছিল তাদের বিবাহবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া আসেন স্বামী সালেকীন। রোববার রাতে খাওয়া শেষে স্বামীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার সকালে স্বামী সালেকিনের স্ত্রী শাম্মীকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ ইব্রাহিম জানিয়েছেন, ঘটনাটি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় শাম্মীর স্বামী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।