নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন সক্রিয় এবং সুনাম কুড়ানো কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বলিউড বাদশা খ্যাত শাহরুখ খানের পূত্র আরিয়ান খানকে একটি প্রমোদ তরী থেকে নিষিদ্ধ দ্রব্যসহ গ্রে’প্তার করার মাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছেন। শুধু এটাই নয়, তিনি অতীতেও তার দায়িত্বে থাকা এলাকা হতে নিষিদ্ধ দ্রব্য জ’/ব্দ এবং সেই সাথে কর ফাঁকি তদন্ত করে সফলতা কুড়িয়েছেন। এই ভারতীয় অফিসার বলিউডের একাংশের নিকট একটি আইকনিক ত্রা’/সের নাম।
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক প্রয়ানের তদন্তে সামিরই প্রথম নিষিদ্ধ দ্রব্যর লিঙ্ক উন্মোচন করেছিলেন। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্বর্ণ ট্রফির যে কর সেটাও এড়ানো যায়নি সামিরের জন্য। সমীরের কাছে গো’পন তথ্য ছিল যে একজন বলিউড অভিনেতার ছেলে নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ে প্রমোদ তরীতে থাকতে পারেন।
আর সেখানেই হাজির ভারতের বাস্তব জীবনের এ নায়ক। ছ’দ্মবেশে গিয়ে আ’টক করেন শাহরুখের ছেলে আরিয়ানকে।
এরপর জনপ্রিয় বলিউড গায়ক মিকা সিংকে বিদেশী মুদ্রাসহ গ্রে’ফ/তার করেন সমীর। সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রয়ান ও পরবর্তীতে রিয়া চক্রবর্তীর নিষিদ্ধ দ্রব্য কেলে’ঙ্কারির তদন্তের দায়িত্বও ছিল তার উপর। তদন্তে তিনি ৫০ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম প্রকাশ করেন যারা নিষিদ্ধ দ্রব্যর সাথে কোনোভাবে যুক্ত। জে/রা করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুর, রাকুল প্রীত সিং ও অর্জুন রামপালের মত জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী তারকাদের।
যাইহোক, পেশাগত জীবনে তাকে বেশ ক’ঠোর সেটা যে কেউ বলবে, কিন্তু সমীর তার ব্যক্তিগত জীবনে কোনো ধরনের জৌলুসতা দেখান না, খুব সাধারণ মানের জীবন যাপন করেন। বলিউডের আ/’ত/’ঙ্ক হওয়া সত্ত্বেও, তিনি কিন্তু সেখানকার একজন অভিনেত্রীর সাথে জীবন চলার পথ শুরু করেছেন। অজয় দেবগন অভিনয় করেছেন গঙ্গাজল নামক একটি জনপ্রিয় সিনেমায় আর সেই সিনেমার একজন শিল্পী ক্রান্তি রেডকার তার সাথে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সমীরের স্ত্রী মারাঠা সিনেমাতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।