Sunday , December 22 2024
Breaking News
Home / Countrywide / চাবি খুলে নিতে চাইলো সার্জেন্ট, ক্ষোভে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন যুবক

চাবি খুলে নিতে চাইলো সার্জেন্ট, ক্ষোভে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন যুবক

গেল বছর একটি ঘটনায় বেশ তোলপাড় হয়েছিল পুরো দেশে। রাজধানী ঢাকায় এক পাঠাও চালক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরক্তির কারনে নিজের বাইকটিটতে আগুন ধরিয়ে দেন। আর সেই ঘটনায় সারা দেশেই শুরু হয়েছিল বেশ আলোচনা সমালোচনা।

এ দিকে এমন ঘটনার আবারো পুনরাবৃতি হয়েছে। জানা গেছে, রাজশাহী নগরীতে ট্রাফিক পুলিশে আগুন দিয়েছেন আশিক আলী (৩০) নামে এক যুবক। সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর কোর্ট হারগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মোটরসাইকেল চালক আশিক আলী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়িয়া হাটুভাঙ্গার মোড় এলাকার আসাদ আলীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উন্মাদনা থেকে সে মোটরসাইকেলে আগুন দেয়।

জানা যায়, রাজশাহী নগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল কাইয়ুম কোর্ট হরগ্রাম বাজারে রুটিন ডিউটিতে ছিলেন। আশিক আলী বেলা সোয়া ২টার দিকে অপর দুই আরোহীসহ এলাকা পার হচ্ছিলেন। তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের একজন সার্জেন্ট তাদের বাধা দেন।

কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেল চালক আপত্তি জানান। চাবি নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আশিক আলী তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

এ সময় কাশিয়াডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মৌসুমী আক্তার কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় টহলরত ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। মৌসুমী আক্তার জানান, মোটরসাইকেলে তিন আরোহী ছিল। তাদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। মোটরসাইকেলের কোনো কাগজপত্র ছিল না।

ট্রাফিক সার্জেন্ট চেকপোস্টে মোটরসাইকেল থামিয়ে মামলা করতে চান। একপর্যায়ে তাকে কাগজপত্র দাখিল করা হয়। কিন্তু সে সুযোগ না নিয়ে নিজেই মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

ঘটনাস্থল নগরীর রাজপাড়া থানার আওতাধীন। পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে রাজপাড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক আশিক আলীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নগর ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বাণ চাকমা জানান, ঘটনার পর তারা মোটরসাইকেল আরোহী আশিক আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বাবার সাথে কথা হলো।

এটা নিছক পাগলামি। মোটরসাইকেলটি নিজের সম্পত্তি হলেও পুলিশের ওপর রাগ করে আগুন দিতে পারেন না। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

তিনি জানান, সম্প্রতি আশিক আলীর একটি ব্যবসায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি ট্রাফিক পুলিশের মামলার মুখোমুখি হন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি এ কাজটি করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান নগর পুলিশের এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, এ দিকে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। কারন তার জন্যই একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রাস্তার মধ্যে।

About Rasel Khalifa

Check Also

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইনকিলাব, জানা গেল কারণ

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *